সিলেটের বিশ্বনাথে রবিউল ইসলাম (১২) নামে নিখোঁজ এক মাদ্রাসাছাত্রের লাশ পড়েছিল সড়েকের পাশে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রহমাননগর গ্রামের পশ্চিমে বৈরাগী বাজার-সিঙ্গেরকাছ বাজার সড়কের পাশের একটি জমি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয় রবিউল। পরিবারের অভিযোগ, তাকে হত্যা করা হয়েছে। সে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রহমাননগর (নওধার) গ্রামের কৃষক আকবর আলীর ছেলে। স্থানীয় গোয়াহরি লতিফিয়া ইরশাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
অন্যদিকে নিখোঁজের দুই দিন পর সাভারের আশুলিয়া থেকে আসিফ নামের আট বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকালে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কলতাসুতি এলাকার একটি শ্রমিক কলোনীর গলি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানাপুলিশ। নিহত ওই শিশু পূর্ব কলতাসুতি এলাকার জুয়েল রানার ছেলে। সে ওই এলাকার স্থানীয় দিপারোজ স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এ ছাড়া সাভারের কাউন্দিয়ার দিয়াবাড়ীর ছিন্নিরটেক এলাকার তুরাগ নদী থেকে দশ বছরের এক অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকালে তুরাগ নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে আশুলিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ি।
বিশ্বনাথে নিহত রবিউলের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পাশের ধানক্ষেত দেখতে সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঘর থেকে বের হয় রবিউল। এর পর দিন পেরিয়ে গেলেও সে আর বাড়িতে ফেরেনি। সম্ভাব্য সব জায়গায় তার খোঁজ করার পাশাপাশি করা হয় মাইকিংও। রাতে বিশ্বনাথ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
রবিউলের বাবা আকবর আলী বলেন, আমার ছেলেকে হত্যা করে লাশ ওই খানে ফেলে রাখা হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা আমাদের সময়কে জানান, রবিউলকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
অন্যদিকে আশুলিয়ায় নিহত ওই শিশুর পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ১০ অক্টম্বর বিকালে পূর্ব কলতাসুতি এলাকার নিজ বাড়ির সামনে থেকে আসিফ নিখোঁজ হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা আশুলিয়া থানায় নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। গতকাল সকালে পূর্ব কলতাসুতি এলাকার একটি শ্রমিক কলোনির গলির সামনে ওই শিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। নিহত ওই শিশুর সারাশরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমাদের সময়