ফ্রান্সের উত্তর-পশ্চিম প্যারিসের সান্ত-অনোরিন নামক স্থানে শাতিমে রাসূল এক ইতিহাসের শিক্ষককে গলাকেটে হত্যা করেছেন ১৮ বছরের এক নবীপ্রেমী যুবক।
শ্রেণিকক্ষে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও সেটা নিয়ে আলোচনা করার কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হামলার পর ঐদিন সন্ধ্যায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সেখানে উপস্থিত হয়ে এই নব্য-ক্রুসেড নেতা দাবী করে, “বাক-স্বাধীনতা(!) প্রতিষ্ঠা করতে যেয়ে প্রাণ হারালো একজন শিক্ষক। বরকতময় এই হামলাকে “ইসলামী সন্ত্রাসবাদ” আখ্যা দিয়ে ম্যাঁক্রো আরো বলেছে ‘তারা জিততে পারবে না…আমরাই জিতবো এবং পদক্ষেপ নেবো।’
দেশটির এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলাকারী মুসলিম যুবক বড় একটি ছুরি ও এয়ারসফট পিস্তল নিয়ে আসেন। ওই ইসলাম বিদ্বেষী শিক্ষক যে স্কুলে শিক্ষকতা করেন সেটার সামনেই মহান আল্লাহর নামে “আল্লাহু আকবর” তাকবীর দিয়ে হামলা করেন ওই মুসলিম যুবক। পুলিশ কাছাকাছি যাওয়ার আগেই ওই শিক্ষকের গলা কাটতে সক্ষম হয়েছেন হামলাকারী যুবক। এরপর পুলিশ সেখানে পৌঁছে হামলাকারীকে আত্মসমর্পন করতে বলে। কিন্তু হামলাকারী ঐ নবীপ্রেমী মুসলিম যুবক আত্মসমর্পন করতে অস্বীকৃতি জানালে ৬০০ মিটার দূর থেকে গুলি করে তাকে ঘটনাস্থলেই শহীদ করে সন্ত্রাসী ফ্রান্সের পুলিশ বাহিনী। পুলিশের গুলিতে শহিদ হওয়া হামলাকারী মুসলিম যুবকের বয়স ছিলো ১৮ বছর। তিনি ছিলেন চেচেন জাতিগোষ্ঠীর এবং তিনি জন্ম গ্রুহণ করেন রাশিয়ার মস্কোতে।
জানা যায় ১০ দিন আগে ওই শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে মহানবী (ﷺ)কে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন দেখিয়েছিল। রাসূল (ﷺ) সম্পর্কে বেশ কিছু সময় ধরে সে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটনা করেছিলো। ওই ঘটনার পর ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরাও শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্ত কথিত বাক-স্বাধীনতার অজুহাতে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ক্রুসেডার ফ্রান্স।
এদিকে প্রকৃত ইসলামকে বিকৃত করে “ফ্রেঞ্চ-ইসলাম” তৈরী করতে ইসলামের নানা বিধান বিকৃত করার পদক্ষেপ নিয়েছে ফ্রান্স সরকার। এছাড়া ইসলাম বিদ্বেষী নানা পদক্ষেপ এর কারণে ইতোমধ্যে মুসলিমদের আক্রোশের মুখে পড়েছে দেশটির সরকার।
উল্লেখ্য যে, মহানবী (ﷺ) কে নিয়ে এধরণের ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশের পর ২০১৫ সালে ফ্রান্সের শার্লি এবদো পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছিলো আল-কায়েদা। সম্প্রতি ঐ হামলার ঘটনায় বিচার শুরু হয়েছে। এরপর পূণরায় সেই একই ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুনগুলো প্রকাশ করে শার্লি এবদো পত্রিকা। যার ফলে তিন সপ্তাহ আগে শার্লি এবদোর সাবেক কার্যালয়ের বাইরে পত্রিকাটির সাংবাদিকদের উপর আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই হামলায় ৪ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছিলো। হামলার পঞ্চমদিন চিকিৎসারত অবস্থায় জাহান্নামে পৌঁছে যায় এক সাংবাদিক।
masha allah
A kind word warms a man throughout three winters.