আকবর কোথায় পুলিশ জানে

0
985
আকবর কোথায় পুলিশ জানে

আওয়ামী গুন্ডাবাহিনী পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে সন্তানের মৃত্যুর ১৫ দিনেও আটক হয়নি মূলহোতা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, যাকে পালাতে সহায়তা করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তেও ধীরগতি। অসহায় মা ছালমা বেগম তাই  এলেন রাজপথে, যে পুলিশ ফাঁড়ির নির্যাতনে মৃত্যু হয় রায়হানের, সেটির সামনেই কাফনের কাপড় গায়ে চাপিয়ে জানালেন- অপরাধীরা গ্রেপ্তার না হলে থাকবেন আমরণ অনশনে। যদিও পরে বিকাল ৫টায় সিটি মেয়র ও গণ্যমান্যদের অনুরোধে সেই অনশন তুলে নেন রায়হানের মা।

ছালমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার সন্তানকে হত্যা করে পুলিশের বড় কর্তাদের সামনে দিয়ে পালিয়ে গেল আকবর। আমাদের প্রশাসন নিশ্চয়ই জানে আকবর কোথায়, কিন্তু ধরছে না। অন্য দোষীদেরও রাখা হয়েছে জামাই আদরে। তাদের একসঙ্গে গ্রেপ্তার না করে একজন একজন করে আদালতে এনে সময় নষ্ট করা হচ্ছে। কয়দিন পর সবাই এ ঘটনা ভুলে যাবে। আমি ডেকেও কাউকে আর পাব না। সন্তানকে পেলাম না, হয়তো সন্তান হত্যার বিচারও দেখে যেতে পারব না। এর চেয়ে রাস্তায় বসে মরে যাওয়াই ভালো।’

রায়হান উদ্দিন নামের ওই যুবককে বন্দরবাজার থানাপুলিশ গত ১০ অক্টোবর আটক করে। ওইদিন রাতে ফাঁড়িতে তার ওপর নির্যাতন চালায় পুলিশ এবং তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করে। ছেলেকে বাঁচাতে ভোরে তার বাবা টাকা নিয়ে ওই ফাঁড়িতে গেলে জানানো হয় রায়হান এখন ঘুমাচ্ছে, সকাল ১০টার দিকে আসতে হবে। পরে সকাল ১০টার দিকে গেলে তাকে বলা হয়, সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে যেতে। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তার ছেলে মারা গেছে। পুলিশ দাবি করে, ছিনতাইকারী সন্দেহে রায়হানকে জনতা গণপিটুনি দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও সিটি করপোরেশনের ফুটেজে এর কোনো প্রমাণ মেলেনি। এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। মহানগর পুলিশের ওপর ব্যাপক অভিযোগের পর মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।

ঘটনার মূলহোতা আকবর এখন পর্যন্ত ধরা না পড়ার সুযোগ নিচ্ছেন গ্রেপ্তারকৃতরা। কিছুতেই মুখ খুলতে চাইছেন না তারা। নির্যাতনে অংশ নেওয়া কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েও অর্থবহ কিছু উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে পিবিআই। রিমান্ড আদালতে আনা হলে সেখানে জবানবন্দি দিতে রাজি হননি টিটু। বাধ্য হয়ে তাকে আরও তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে আছেন কনস্টেবল হারুনুর রশীদও। পিবিআইয়ের কাছে টিটুর দেওয়া তথ্যের সঙ্গে অনেক গরমিল ঘটনার দিন ফাঁড়িতে অবস্থানকারী ও প্রত্যক্ষদর্শী তিন কনস্টেবল শামীম, সাইদুর ও দেলোয়ারের বক্তব্যে। আমাদের সময়

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধপণ্য বয়কট না করার অনুরোধ ফ্রান্সের
পরবর্তী নিবন্ধশাম | মুজাহিদদের পৃথক হামলায় অন্তত ৫ নুসাইরী সৈন্য নিহত