কট্টর ইসলামবিদ্বেষী ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে মুসলিম বিশ্ব এবং ফরাসি পণ্য বর্জনের প্রচার চালাচ্ছে। তবে থেমে নেই ফ্রান্সের ইসলামবিদ্বেষীরা। দেশটির উত্তরাঞ্চলের একটি মসজিদকে হুমকিমূলক বার্তা দেওয়া হয়েছে। যেখানে মুসলিমদের হত্যা করার হুমকি দিয়ে মসজিদের চিঠির বাক্সে ইসলামবিদ্বেষীরা ওই বার্তাটি রেখে যায়।
হত্যার হুমকির চিঠিতে আরব, তুর্কি ও সেখানকার মুসল্লিদের হত্যার হুমকিসহ অবমাননামূলক কথা বলা হয়েছে। ইসলাম ও ইনফো ওয়েবসাইটের বরাতে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এমন খবর দিয়েছে। মসজিদে দেয়া হুমকির নোটিশে হিজাব পরিহিত মুসলিম নারীদের নিয়েও কটূক্তি করা হয়েছে।
তাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেওয়া হয়েছে বলে খবরে জানা গেছে। চিঠিতে বলা হয়, যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। তোমাদের দেশ থেকে বের করে দেব। সামুয়েলের মৃত্যুর কড়ায়-কণ্ডায় হিসাব নেব।
ক্লাসে মহানবী মুহাম্মাদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লামের কার্টুন প্রদর্শন করার প্রতিবাদে চেচেন-বংশোদ্ভূত এক কিশোর ফরাসি স্কুল শিক্ষক স্যামুয়েল পট্টির শিরশ্ছেদ করে।
ওই ঘটনার পরে ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড বন্ধ করবে না বলে ম্যাক্রোঁর ঘোষণা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইসলামবিদ্বেষীদের উস্কে দেয়। মুসলমানদের বিরুদ্ধে ফরাসী সরকারের উস্কে দেওয়ার ফলে ওই দেশটিতে ইসলামোফোবিক ক্রিয়া ও বর্ণবাদী আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ম্যাক্রোঁর ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্যের পরেই দেশটির কয়েকটি পাবলিক ও এবং সরকারি ভবনে মুহাম্মাদ সাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে ইসলামবিদ্বেষীরা।
বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ, সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লামের অপমানজনক ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করার সমর্থনে ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মন্তব্য বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তুরস্ক ও পাকিস্তানসহ অনেক মুসলিম দেশ সর্বসম্মতভাবে ফ্রান্সের ইসলামফোবিক পদক্ষেপের নিন্দা জানায় ও ফরাসী পণ্য বর্জনকারী প্রচারগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় চালু করে।
ম্যাক্রোর ব্যক্তিগত ফোনে মেসেজের মাধ্যমে চিঠি দেওয়া দরকার গুপ্তহত্যার পরে ওর উচিত পাওনা বুঝায় দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ