বরিশালের বানারীপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহিম খানসহ ১০ জন মিলে ইলেকট্রিক ড্রিল গ্রাউন্ডার মেশিন দিয়ে ব্রিজের মধ্যবর্তী স্থান কেটে ফেলেছে।
শুক্রবার রাতের আঁধারে অবৈধভাবে পল্লী বিদ্যুতের লাইনে সংযোগ নিয়ে ইন্দেরহাওলা সাইক্লোন শেল্টারসংলগ্ন নাছির শিকদারের রাইস মিলের উত্তর পাশের ব্রিজটি কেটে ফেলার সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে তারা। শনিবার উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের ইন্দেরহাওলা গ্রামের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফারুক হোসেন ও একই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম খানসহ অজ্ঞাত ১০ জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা পরিষদ থেকে ওই ব্রিজটিসহ বিভিন্ন সময় টেন্ডার দেয়া এই উপজেলার একাধিক পুরাতন ব্রিজের লোহার বিম ও রড সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে জমা রাখার জন্য রেজুলেশন করে দেয়া হয়েছে। ফলে রাতের আঁধারে ইন্দেরহাওলা গ্রামের ওই বিষয়টি ভেঙে ফেলা হলেও তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি।
ইন্দেরহাওলা সাইক্লোন শেল্টারসংলগ্ন নাছির শিকদারের রাইস মিলের উত্তর পাশের ব্রিজটি (৬০ ফুট) ৭৮ লাখ ৭৮ হাজার ৩৭৫ টাকা ব্যয়ে নির্মাণের জন্য সম্প্রতি বরিশাল এলজিইডি থেকে টেন্ডার দেয়া হয়। এ সময় ওই টেন্ডারটি বরিশালের মেসার্স কহিনুর এন্টারপ্রাইজ পায়। তিনি জানান, সম্প্রতি ঠিকাদারি ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ব্রিজটির কাজ সম্পন্ন করার জন্য সাব-কন্ট্রাক্ট হিসেবে নিয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে ইন্দেরহাওলা সাইক্লোন শেল্টারসংলগ্ন মো. নাছির শিকদারের রাইস মিলের উত্তর পাশে ৮ গ্রামের জনতার চলাচলের একমাত্র ব্রিজটি (৬০ ফুট) শুক্রবার গভীর রাতে তারা আবদুর রহিম খানের নেতৃত্বে অজ্ঞাত ১০ জন পল্লী বিদ্যুতের লাইনে অবৈধ সংযোগ দিয়ে ইলেকট্রিক ড্রিল গ্রাউন্ডার মেশিন দিয়ে ওই ব্রিজের মধ্যবর্তী স্থান কেটে ফেলে। এ সময় মেশিনের শব্দ পেয়ে স্থানীয় জনতা তাদের হাতে-নাতে ধরে ফেলে।
পরে বিক্ষুব্ধ জনতা এ বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে খবর পেয়ে লবণসাড়া পুলিশ এসআই মো. আবু হানিফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে।