ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শক্তিশালী ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। কম্পনের তীব্রতা মাঝারি হলেও লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ভয়ে অনেকেই ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় দিল্লি ও তার আশেপাশের এলাকায়।
দেশটির ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। ভূগর্ভের ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীর থেকে কম্পন ছড়িয়ে পড়ে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪ দশমিক ২।
দিল্লির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয় দিল্লিতে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসে সাধারণ মানুষ। তবে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। দিল্লি ছাড়াও পার্শ্ববর্তী নয়ডা, গাজিয়াবাদ ও গুরুগ্রামেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভারতের পাঁচটি ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলের মধ্যে দিল্লি চতুর্থ সর্বোচ্চ অঞ্চলে রয়েছে। ভূমিকম্পের জন্য দিল্লি সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ। তবে ভূমিকম্পের উৎসস্থল হিসেবে দিল্লিকে খুব একটা দেখা যায় না। মধ্য এশিয়া বা হিমালয় অঞ্চলে ভূমিকম্প হলে তার প্রভাবে নড়েচড়ে ওঠে দিল্লি।
জাতীয় রাজধানীর আশপাশে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল ১৯৫৬ সালের ১০ অক্টোবর, বুলন্দ শহরে। রিখটারে তার তীব্রতা ছিল ৬ দশমিক ৭। ১৯৬৬ সালের ১৫ আগস্ট মোরাদাবাদে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৮। এই দুটি এলাকাই পড়েছে উত্তর প্রদেশে।
গত কয়েক মাসে একাধিকবার ভূমিকম্প হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর, দিল্লিসহ উত্তর ও উত্তরপূর্ব ভারতে। এপ্রিল মাস থেকে এক ডজনের বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায়।
ভূমিকম্প বিষয়ে ইসলামী বিশেষজ্ঞদের মতামত হল, অধিক অপরাধের কারণে আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন ধরনের গযব দিয়ে মানব জাতিকে সর্তক করেন। যেমনটি আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِي النَّاسِ
অর্থাৎ “স্থলে বা সাগরে যে সব ফাসাদ বা অনিয়ম ও বিশৃংখলা প্রকাশ পায় তা মানুষের হাতের কামাই।” (আল-কুরআন, সূরা রুম, আয়াত:৪১)