দিনভর নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে পাবনার বেড়ায় আটকের পর যুবককে ১০ পিস ইয়াবা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। তবে বুধবার রাতে আটকের তার কাছ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে পুলিশ দাবি। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশের বিরুদ্ধে ওই যুবককে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ করেন।
গ্রেপ্তার যুবক শাহাজান আলী ঝন্টু (৩৫) বেড়া পৌর এলাকার শালিকাপাড়া মহল্লার মোসলেম মোল্লার ছেলে।
পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬/১ টেবিলের ১০ এর (ক) ধারায় তাকে ১০ পিস ইয়াবা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে।
তবে এই পুলিশ কর্মকর্তা ঝন্টুকে আটকের পর তার নিকট থেকে ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করে বুধবার রাতে।
১০ পিস ইয়াবা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, গত রাতেও আমি ১০ পিসের কথাই বলেছি।
বুধবার রাতে তার ফোনালাপের অডিও রেকর্ড রয়েছে জানালেও তিনি ১০ পিস ইয়াবার কথাই নিশ্চিত করেন।
এদিকে মামলার এজাহারের লিখিত বর্ণনা অসত্য বলে দাবি করেছেন ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।
ঝন্টুর শ্যালক জাহিদ হোসেন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় আমার দুলাভাই সেলুনে শেভ করতে যান। তার মুখে শেভিং ক্রিম লাগানোর পর হঠাৎই এস আই বারেকসহ কয়েকজন পুলিশ এসে তার শেভ বন্ধ করতে বলেন। মুখ ধুয়ে দিলে, ওসি সাহেব ডাকছেন বলে তাকে নিয়ে যান। কিন্তু তাকে কোনো তল্লাশি বা মাদক রয়েছে বলে সন্দেহভাজন বলেও দাবি করেনি। পরে থানায় গিয়ে শুনছি তার কাছে নাকি ৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে। সে মাদকসেবী নয়, ব্যবসা করার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফারুক হোসেন ও সাইফুল ইসলাম জানান, ঝন্টুকে আটক করতে দেখে আমরা এগিয়ে যাই। ঝন্টু দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেনি। পুলিশ তাকে কথা বলার কোনো সুযোগ না দিয়েই ধরে নিয়ে যায়। এখন আবার শুনেছি ১০ পিস ইয়াবা দিয়ে চালান করেছে, বিষয়টি সত্যিই আশ্চর্যের। তাকে থানায় নিয়ে মাদক দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।
বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম আজাদ বলেন, আমার অফিসার ওই ব্যক্তির নিকট ১০ পিস ইয়াবা পাওয়ার পর মামলা দিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আটকের পরপরই এসআই যদি ৫০ পিস ইয়াবা পাওয়ার কথা বলে থাকে সেটি তার বিষয়।