ইসরায়েলের ফিলিস্তিন নীতির লোক দেখানো সমালোচনা করলেও দখলদার দেশটির সঙ্গে তুরস্ক আরও ভালো সম্পর্ক চায় বলে মন্তব্য করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এজন্য দুই পক্ষের মধ্যে গোয়েন্দা পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত আছে মন্তব্য করেছে এরদোয়ান।
গত ২৫ ডিসেম্বর ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের এরদোয়ান বলেছে, ইসরায়েলে ‘শীর্ষ পর্যায়ে নেতাদের’ সঙ্গে তুরস্কের সমস্যা ছিল। যদি শীর্ষ পর্যায়ে কোনো সমস্যা না থাকত, তাহলে আমাদের সম্পর্ক অন্য রকম হতে পারত। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তুর্কি এই প্রেসিডেন্ট আরো বলেছে, আমরা আমাদের সম্পর্ককে আরো উন্নত অবস্থানে আনতে চাই।
এদিকে, আজেরি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এই সপ্তাহের শুরুতে এরদোয়ানের সাথে এক বৈঠকে বসে। বৈঠকে ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের উপায় সম্পর্কে বেশ কিছু পরমার্শ হয়েছে বলে জানা যায়। খবর ডেইলি সাবা।
এরই অংশ হিসেবে, আজেরি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেহুন বায়রামভও গত সপ্তাহে ইসরায়েলি কুটনীতিক গবি আশকানাজির সাশে এক বৈঠক করেছে। বৈঠকে আজারবাইজান ইসরায়েলের সাতে সম্পর্ক উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
উল্লেখ যে, গত ২০১০ সালে তুর্কি জাহাজ অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা দেওয়ার পথে ইসরায়েতিপূরণ হিসাবে ২০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করে। এর পর থেকেই তুর্কি-ইসরায়েল স্বাভাবিক সম্পর্ক পার করছে।
পরে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে, উভয় দেশই পুনর্মিলন চুক্তির অংশ হিসাবে রাষ্ট্রদূতদের পুনরায় নিয়োগ করেছে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও উন্নতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
সূত্র : ডকুমেন্টিং অপরেশন এগিনেস্ট মুসলিম।
ইসরায়েতি পূরণের জন্য ২০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করা হয়েছে।
এখানে ইসরায়েতি পূরণ বলতে কি বুঝানো হয়েছে?
২০১০ সালের মাভি মারমারা সংকটের পর দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলে। তখন তুরস্কের একটি জাহাজ বহর ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সাহায্য পৌঁছাতে গেলে ইসরাইল সেখানে হামলা চালায়। এতে ১০ ত্রাণকর্মী নিহত হন।
এই হামলার পর তৎকালীন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান বলেছিল, এই নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরাইলকে শাস্তি পেতে হবে।
পরে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তুরস্কের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। একই সঙ্গে ওই ঘটনার জন্য সে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে। পরে তুরস্ক-ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়।