সিলেটের কানাইঘাটের দনাসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায়অবাধে রোগাক্রান্ত ভারতীয় গরু আসছে। এসব গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। ফলে এ গরুর মাংসে যেমন স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকছে, ঠিক তেমনিভাবে দেশীয় প্রজাতির গবাদিপশুতে ক্ষুরাসহ নানা রোগও ছড়িয়ে পড়ছে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কয়েক মাস ভারত থেকে অবৈধ পথে গরু আসা বন্ধ ছিল। তবে চলতি মাসে এসব গরু ফের আসতে শুরু করেছে। আর অবৈধভাবে আনা এসব গরু স্থানীয় সড়কের বাজারের পশুর হাটে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেখান থেকেই ট্রাকে করে তা নিয়ে যাওয়া হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
সড়কের বাজারের একাধিক বাসিন্দা জানান, মধ্যরাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতীয় গরু এই বাজারে আসে। আর দুপুরের আগেই সব গরু সেখান থেকে ট্রাকে করে সরিয়ে নেওয়া হয়।
গরু চোরাচালানের সাথে জড়িতদের বেশিরভাগই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। মূলত রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমেই তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই অবাধে ভারতীয় গরুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতেও চান না।
১৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল ইসলাম পিএসসিও দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
উপজেলা দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাস্টার মহিউদ্দিন বলেন, “ভারতীয় গরুর মাংস মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আর চোরাচালানে অবৈধভাবে গরু নিয়ে আসার কারণে দেশের খামারীরাও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ইকবাল হোসেন বলেন, “ভারত থেকে বৈধপথে পশু আমদানি করা হতো খাটালের মাধ্যমে। কিন্তু কয়েক বছর থেকে খাটাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর অবৈধ পথে চোরাচালানের মাধ্যমে যেসব পশু আসে; তার বেশিরভাগই রোগাক্রান্ত আর অস্বাস্থ্যকর। এছাড়া বিভিন্ন স্টেরয়েড দিয়ে এসব পশু মোটাতাজাও করা হয়; ফলে এর মাংস মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ। পাশাপাশি চোরাচালানে আসা পশু থেকে দেশি গবাদিপশুতে ক্ষুরাসহ বিভিন্ন ছোঁয়াছে রোগ ছড়ায়।”
সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন