চীন-ভারতের সীমান্তে উত্তর সিকিমের নাকুলা এলাকায় দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পাঁচ দিন আগের এ ঘটনায় দুপক্ষের সেনারাই আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত সাত মাসের মধ্যে এই প্রথম ভারতীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে চীন সীমান্তে নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করে নেওয়া হয়।
এর আগে গত বছরের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষে অন্তত ২০জন ভারতীয় মালাউন সেনা নিহত হয়েছিল। সেই সংঘর্ষে চীনের দিকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে সীমান্তের বিতর্কিত এলাকাগুলো থেকে চীনকে সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে এবং নতুন করে কোনও সামরিক স্থাপনা তৈরি করা যাবে না।
কিন্তু চীন লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত সুদীর্ঘ সীমান্ত এলাকায় নতুন নতুন রাস্তা, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল পজিশন, হেলিপ্যাড স্থাপন করে চলেছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
এদিকে উত্তর সিকিমের নাকুলায় চীনা ও ভারতীয় বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের খবর সামনে আসার পর রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আবারও কটাক্ষ করে টুইট করেছে।
এদিন সকালে টুইটারে লেখে, ‘ভারতীয় ভূখণ্ডের ভেতরে চীন তাদের দখলদারির সম্প্রসারণ চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ মিস্টার ছাপ্পান্ন ইঞ্চি গত বেশ কয়েক মাস হলো চীন শব্দটা উচ্চারণই করেননি। হয়তো তার এখন চীন কথাটা বলার সময় এসেছে।’
সিকিম এলাকাটি চীনের পাশাপাশি ভুটান ও নেপালের মাঝের একটি ভূখণ্ড। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ড রয়েছে ভারত ও চীনের মধ্যে। উভয় দেশই দাবি করে যে, অন্য দেশের ভেতরে তাদের এলাকা রয়েছে।
নদী, হ্রদ ও বরফে আচ্ছাদিত পাহাড় চূড়াময় ৩ হাজার ৪৪০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার সবটা পুরোপুরি চিহ্নিত নয়। ফলে অনেক সময় সীমান্তরেখা অদলবদল হতে পারে। অনেক সময় দুই দেশের সৈনিকেরা মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায়, যা অনেক ক্ষেত্রে সংঘর্ষের কারণ হয়ে ওঠে। তবে দুই দেশের মধ্যে একমাত্র যুদ্ধ হয়েছে ১৯৬২ সালে, যে যুদ্ধে ভারতের শোচনীয় পরাজয় হয়েছিল।