বরগুনার পাথরঘাটায় আওয়ামী লীগ মনোনীত এবং স্বতন্ত্র (একই দলের বিদ্রোহী) মেয়র প্রার্থীর নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পৌর শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
এতে পাথরঘাটা থানার ওসি শাহাবুদ্দিন, সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের শতাধিক নেতাকর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। পুলিশ স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী উপজেলা শ্রমিক লীগের বহিস্কৃত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করার পর সন্ধ্যায় তার সংগঠনের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও বসতবাড়িতে ভাঙচুর চালায় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথম দফায় বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে গণসংযোগের এক পর্যায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় পার হওয়ার সময় সংঘর্ষের সূত্রপাত। এর পর উভয়পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা-পাল্টা হামলায় জড়িয়ে পড়ে। মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষ বিপুলসংখ্যক নারীকে সংঘর্ষে জড়ায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্যমতে, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে থাকা কর্মীরা মোস্তাফিজের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। আকস্মিক হামলায় মোস্তাফিজুর রহমান টিকতে না পেরে দৌড়ে নিজ বাড়ির দিকে চলে যান। প্রায় ১৫ মিনিট পর শতাধিক নারীসহ কয়েকশ কর্মী-সমর্থক নিয়ে তিনি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে ছুটে যান। আওয়ামী লীগের কর্মীরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায়। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি মো. শাহাবুদ্দিনসহ ২০ সদস্য আহত হয়েছেন। ওসিকে বরিশাল মেডিকেলে এবং অন্যদের পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন সমকালের প্রতিনিধি ইমাম হোসেন নাহিদ ও আমাদের সময় প্রতিনিধি কাজী রাকিব।
ওসি শাহাবুদ্দিন জানান, ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানকে। সন্ধ্যা ৭টায় পরিদর্শক সাইদ আহমেদ বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান অসুস্থ। তাকে পুলিশ হেফাজতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে বিকেলে সংঘর্ষ থামলেও সন্ধ্যার পর ফের উত্তপ্ত হয় পৌর শহর। মোস্তাফিজুর রহমান আটক হওয়ায় তার কর্মী-সমর্থকরা আত্মগোপনে যান। নৌকা প্রতীকের কর্মীরা সন্ধ্যার দিকে পাথরঘাটা মৎস্য বন্দরে মৎস্য শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে। মোস্তাফিজুর রহমান এ সংগঠনের সভাপতি। মোহনা টেলিভিশনের উপজেলা প্রতিনিধি সুমন ইসলামের বসতঘরও ভাঙচুর করা হয়েছে।
নৌকার প্রার্থী বর্তমান মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন সমকালকে বলেন, বিকেলে ঘটনার সময় তিনি ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি কর্মিসভায় ছিলেন। তিনি দাবি করেন, মোস্তাফিজুর রহমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার জন্য বরগুনাসহ পিরোজপুর ও বাগেরহাট থেকে বহিরাগত এনেছেন। এর প্রতিকার চেয়ে তিনি দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোস্তাফিজুর রহমান বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা করেছেন।
মোস্তাফিজুর রহমানের বাবা নুরুল হক বলেন, তার ছেলে গণসংযোগে বের হলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়।
হাই আফসোস!আর কতদিন দেখব এই নাপাক গণতন্ত্রের নাপাক খেলা ।কবে যে দেখব ইসলাম ও বাতিল মতবাদের পবিত্র মহড়া।কবে যে শুনবো প্রকৃত আল্লাহু আকবারের পবিত্র ধ্বনি।কবে যে শুনবো মুজাহিদদের পায়ের পদধ্বনি।হে আল্লাহ আপনি অচিরেই আমার এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করুন। এবং আমাকে একজন হক্কানী মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন। এবং আপনি আমাকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন। আমিন ইয়া রব্বাশ শুহাদায়ি ওয়াল মুজাহিদীন।