গত বছরের মার্চ মাস থেকে বেতন পাচ্ছেন না রাজধানীর হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। এই বেতনের দাবিতে এবার আন্দোলনে নামলেন শিক্ষকরা।
গতকাল শনিবার দুপুর থেকে তারা কলেজে অবস্থান নিয়েছেন। কাল বেতন নিয়ে তারা কলেজের অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেন।
কিন্তু অভিযোগ, অধ্যক্ষ তাদের উল্টো হুমকি দিচ্ছেন। তিনি গতকাল কোনো ধরনের আশ্বাস না দিয়ে কলেজ থেকে চলে যান। এরপর ওইদিন রাতেও কলেজে অবস্থান করে থাকেন শিক্ষকরা। আজ কলেজে অধ্যক্ষ উপস্থিত হলেও আন্দোলনরত শিক্ষকদের সাথে কথা বলছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের একজন শিক্ষক অভিযোগ করে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দুর্নীতির মাধ্যমে কলেজ ফান্ডের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন অধ্যক্ষ। এ জন্য আমাদের বেতন দিতে পারছেন না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এটা করোনার কারণে বেতন দিতে পারছেন না, ব্যাপারটা এমন না। মূলত দুর্নীতির কারণে আমাদের বেতন বন্ধ হয়ে আছে।
রবিবারও আন্দোলনরত শিক্ষকরা কলেজে অবস্থান নিয়েছেন। তারা অধ্যক্ষের কক্ষ অবরুদ্ধ করে আছেন।
ওই শিক্ষক জানান, তাদের দাবি কলেজের গভর্নিং বডির কাছে তুলে ধরা হয়েছে। দাবি মানা না পর্যন্ত তাদের এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে। তিনি জানান, কলেজে ১৪৫ জন শিক্ষক আছেন।
তাদের মধ্যে মাত্র ২৫ জন এমপিভুক্ত। বাকিরা মূলক কলেজের আয় থেকে বেতন পান। তবে তাদের ১০ মাসের বেতন না দেওয়া হলেও গত দুই মাস যাবৎ থুক বরাদ্দ থেকে কিছু টাকা দেওয়া হচ্ছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের অধ্যক্ষ ড. আব্দুল জব্বার মিয়া। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট। এরকম বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা করোনাকালীন কোথাও থেকে কোন সহায়তা পাননি। সরকারও একেবারেই উদাসীন এ ক্ষেত্রেও। বিডি প্রতিদিন