তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের পর দেশটিতে যে কয়েকটি দল জিহাদের ময়দানে সক্রিয় রয়েছে, তাদের মাঝে লস্কর-ই-ইসলাম উল্লেখযোগ্য। কয়েকদিন আগে বৃহৎ এই দলটির আমীর মঙ্গল বাঘ (উপনাম) এক বোমা হামলায় শাহাদাত বরণ করেন।
দলটির আমীরের শাহাদাতে শোক বার্তা প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় জিহাদী গ্রুপ তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মুখপাত্র মোহাম্মদ খোরাসানী হাফিজাহুল্লাহ্। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আমরা লস্কর-ই-ইসলামের আমির মঙ্গলবাগ রহিমাহুল্লাহ’র শাহাদাতের দুঃখজনক সংবাদ পেয়েছি। যদিও মুজাহিদিনের শাহাদাত তাদের অন্যতম সাফল্য। তবে এই কঠিন সময়ে, আমাদের থেকে এই ধরণের লোকদের বিদায় অবশ্যই দুঃখ এবং বেদনার কারণ।
শহীদ মঙ্গলবাগ (রহঃ) পাক জিহাদের এক সুপরিচিত ব্যক্তি ছিলেন এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে মুজাহিদীনদের একটি দলের অধিনায়ক ছিলেন। জীবনের শেষ কয়েক বছর অতি কঠিন পরিস্থিতিতে কাটিয়েছিলেন। মহান আল্লাহ্ তায়ালা দ্বীনের জন্য তাঁর সকল মেহনতকে কবুল করুন এবং তাকে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দান করুন, আমিন।
দুঃখের এই মুহূর্তে আমরা লস্কর-ই-ইসলামের মুজাহিদিনদের সাথে সমান অংশীদার এবং আমরা তাদের জন্য আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করছি যে, আল্লাহ্ তা’আলা যেন দ্বীনের পথে তাদেরকে দৃঢ়তা দান করেন। আমিন।
এরপর মোহাম্মদ খোরসানী হাফিজাহুল্লাহ্ দলটির নতুন নির্বাচিত আমির জিলা খান ওরফে আবু আবিদকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে সংগঠন পরিচালনার গুরু দায়িত্ব গ্রহণের জন্য শ্রদ্ধা জানান। এসময় তিনি নতুন আমিরের জন্যেও মহান রবের দরবারে দো’আ করেন, আল্লাহ্ তা’আলা যেন তাকে সাহায্য করেন এবং তিনি যেন দৃঢ়তার সাথে পাকিস্তান জিহাদের একজন সজাগ রাজপুত্র হয়ে উঠতে পারেন।
সর্বশেষ তিনি দলটির নতুন আমিরকে তাওহীদ ও জিহাদের ভিত্তিতে একই পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন যে, সাম্প্রতিককালে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ফলাফল প্রত্যক্ষ করেছি এবং আমরা মুজাহিদদের গোপনীয়তা রক্ষা করেছি।
পাকিস্তানের সকল মুজাহিদিনকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, তাঁরা যেন অতীতের তিক্ত স্মৃতি, শাহাদাত ও ক্ষতকে জগ্রত না করে, বরং এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা করে এবং তারা যেন পাকিস্তানের জিহাদের এই নৌকার নাবিক হয়ে এগিয়ে চলে। আর আল্লাহ তা’আলার কাছে এই দো’আ করেন, আল্লাহ্ তা’আলা যেন তাদেরকে সাহাবায়ে (رضوان اللہ تعالیٰ علیھم) কিরামের পথে অবিচল এবং দৃঢ় রাখেন। আমিন।