উদ্বোধনের মাস না পেরোতেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে দেখা দিয়েছে ফাটল। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের চাঙ্গুরা গ্রামে বসবাসরত সাঁওতাল (আদিবাসী) সম্প্রদায়ের ৫০টি পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু মাস যেতে না যেতেই সেই ঘরে দেখা দিয়েছে ফাটল।
শাহেনা হেমরম বয়স ৩৬ বছর। মরাবস্তা পুকুরপাড়ে সরকারের খাস জমিতে মাটির তৈরি ঘরে পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। এরই মধ্যে মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাটির তৈরি ঘর ভেঙে দিয়ে শাহেনা হেমরমকেও দেওয়া হয় আশ্রয়ণ প্রকল্পের সেমিপাকা ঘর। কিন্তু বসবাসের আগেই সেই ঘরের দেয়ালসহ মেঝেতে দেখা দিয়েছে ফাটল।
শাহেনা হেমরম বলেন, ঘরে বসবাসের আগেই ফাটল দেখা দিয়েছে। ওই ঘরে থাকতে ভয় করবে।
হোদগো নামের এক আদিবাসী বলেন, আমার নামে বরাদ্দকৃত ঘর নির্মাণের সময় দেয়াল ভেঙে পড়েছিল। অল্পের জন্য মিস্ত্রিদের লোক বেঁচে গেছেন। এই ঘরে থাকাটা নিরাপদ মনে হচ্ছে না। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এমনভাবে মিনা রানীসহ বেশ কয়েকজনের ঘরে দেখা দিয়েছে ফাটল।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মণ বলেন, এ বরাদ্দে এর চেয়ে ভালো কাজ করা সম্ভব নয়। ঠিকাদারকে দিয়ে তো এ টাকায় কাজ করাই যেত না। তিনি বলেন, সচিবালয়ে এসব নিয়ে আপনাদের একজন আমাদের পেছনে লেগেছিল। তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।