নিরাপদ নয় ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের তৈরি করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক কোভিশিল্ড। চমকে ওঠার মতোই নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। শুক্রবার মাদ্রাজ হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনালেরকে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনকে অনিরাপদ বলে ঘোষণা করার নির্দেশনা চেয়ে একটি নোটিশ জারি করেছে। এক স্বেচ্ছাসেবকের মামলার ভিত্তিতেই এই নোটিশ জারি করা হয়েছিল।
ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া টিকাগুলির মধ্যে একটি হল কোভিশিল্ড। গত ১৬ জানুয়ারি থেকে এই ভ্যাকসিনটি দিয়ে টিকা শুরু হয়েছে দেশে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রোজেনেরা এই ভ্যাকসিনটি বিকাশ করেছে। বিশ্বের সব থেকে বড় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া এই টিকাটি তৈরি করছে।
কোভিশিল্ডের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবী আফিস রিয়াজ মাদ্রাজ হাইকোর্টে কোভিশিল্ডের বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের করেছে। সে কোভিশিল্ডকে অনিরাপদ হিসেবে ঘোষণা করার আবেদন জানিয়েছে। সেই মামলার শুনানিই মাদ্রাজ হাইকোর্ট কেন্দ্র ও ডিসিজিআইকে নোটিশ পাঠিয়েছে। আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে।
আসিফ রিয়াজ আবেদনে বলেছে– গতবছর পয়লা অক্টোবর কোভিশিল্ডের একটি ডোজ নিয়েছিলেন। ১০ দিন পর একাধিক জটিলতা তৈরি হয়েছে তাঁর শরীরে। তারপর ১৬ দিনের জন্য সে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। ক্ষতিপূরণ হিসেবে সে সেরামের থেকে ৫ কোটি টাকাও দাবি করেছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেই প্রতিষ্ঠান থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য চুক্তি করেছে।
চুক্তি অনুযায়ী, ৩রা জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকার ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কেনার জন্য ছয়’শ কোটি টাকার বেশি জমা দেয়ার কথা এরইমধ্যে জানিয়েছে দেশটি।
চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ইন্সটিটিউট ছয়মাসের মধ্যে তিন কোটি টিকা দেবে বাংলাদেশকে। প্রতিমাসে ৫০ লাখ টিকা আসবে।
সূত্র: পুবের কলম