ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দোহা চুক্তির প্রথম বছর উপলক্ষে নতুন একটি বিবৃতি জারি করেছে।
তালেবান মুজাহিদিন নতুন এই বিবৃতিতে চুক্তির গুরুত্ব এবং আফগানিস্তান শান্তি প্রক্রিয়ার উপর জোর দিয়েছে। তালেবান জানিয়েছে যে, বিগত ২০ বছরের যুদ্ধ শেষ করার জন্য স্বাক্ষরিত দোহা চুক্তিটি আমেরিকা এবং আফগান জনগণের জন্য একটি ঐতিহাসিক চুক্তি। যা সকল পক্ষকেই মনে চলা আবশ্যক।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি তালেবান মুজাহিদদের সাথে এই চুক্তি করেছে যে, তারা চুক্তি স্বাক্ষরিত তারিখ থেকে আগামী ১৪ মাসের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা ও তাদের জোট বাহিনী, ভাড়াটিয়া সৈন্য, গোয়েন্দা সদস্যসহ তাদের সহযোগী সকল কর্মকর্তারা আফগানিস্তান ছেড়ে যাবে। বিপরীত তালেবান মুজাহিদিনও এই সময়ের মধ্যে দাখলদার বাহিনীর উপর হামলা না চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
বিবৃতিতে তালিবান মুজাহিদিন চুক্তি প্রক্রিয়াটির সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সংক্ষিপ্ত ৭টি পৃথক নিবন্ধন প্রকাশ করেছে।
চুক্তির সমস্ত শর্তাবলী সকল পক্ষ মানতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে তালেবান উল্লেখ করেছে যে, বর্তমানে দোহা চুক্তি বাস্তবায়নই আফগানিস্তানের চলমান ইস্যুটির সহজে সমাধানের একমাত্র উপায়।
তালিবান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তির সকল শর্তাবলী মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। তালেবান এটিও জোর দিয়ে দাবি করেছে যে, চুক্তির আওতায় নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে সকল মুজাহিদদেরকে সরানো এবং সমস্ত বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার মতো বিধানগুলি এখনও পূরণ হচ্ছে না। তালেবান সতর্ক করে বলেছে যে, দোহা চুক্তি ব্যতীত অন্য কোনও উপায় নতুন করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করার অর্থই হচ্ছে চুক্তি প্রক্রিয়াটি সমাপ্তি করা। যার ফলাফল হবে খুবই ভয়াবহ।
এই চুক্তির আওতায় তালিবানরা জানিয়েছে যে, আমরা আফগানিস্তানে যুদ্ধের তীব্রতা অনেকটা হ্রাস করেছি এবং বড় ধরনের আক্রমণ পরিচালনা থেকে বিরত থেকেছি। আমরা প্রাদেশিক রাজধানীতে হামলা চালানো থেকেও বিরত থেকেছি, যা সকলের কাছেই স্পষ্ট। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কাবুল সরকার এটি করে নি। বরং তারা ড্রোন হামলা, স্থল অভিযান এবং বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা অব্যাহত রেখেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তির শর্তে দেশ ত্যাগ করতে সম্মত হয়েছে। সুতরাং এখন দোহা চুক্তির নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে সমস্ত বিদেশি শক্তিকে অবশ্যই দেশ ত্যাগ করতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালের মে মাসে পুরোপুরি দেশ ত্যাগের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দোহায় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা, কাতার, জাতিসংঘসহ বিশ্বের অনেক দেশ উপস্থিত ছিল বলে উল্লেখ করে তালেবান জানিয়েছে যে, চুক্তিটি সম্পন্ন করা এখন এই পক্ষগুলিরও দায়িত্ব।