
জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অ্যানগ্রেট ক্র্যাম্প-ক্যারেনবাউর বলেছে যে, তারা আফগানিস্তানে আরও সেনা প্রেরণ এবং ২০২২ সাল পর্যন্ত তাদের সেনারা আফগানিস্তানে অবস্থান করবে।
ডয়চে ভেলের কাছে এক বিবৃতিতে ক্র্যাম্প-ক্যারেনবাউর দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার সময় বলেছে যে, আগত মাসের জন্য আফগানিস্তানে তাদের নিয়োজিত ১৩০০ সৈন্য পর্যাপ্ত হবে বলে জোর দিয়েছে এবং বলেছে যে সুরক্ষা পরিস্থিতি অবনতি হলে তারা তাদের নীতিমালা নবায়ন করবে এবং প্রয়োজনে আফগানিস্তানে আরো সেনা পাঠাবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ক্র্যাম্প-ক্যারেনবাউর গত শুক্রবার উত্তর আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরীফে অবস্থিত জার্মান সেনাদের পরিদর্শন করেছে।
গত সপ্তাহে, জার্মান সংসদ ২০২২ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত জার্মান সেনা আফগানিস্তানে থাকার বিষয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।
২০২০ সালের ২৯ শে ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবান মুজাহিদদের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে, বিদেশি বাহিনীকে ২০২১ সালের মে মাসে আফগানিস্তান থেকে সরে যেতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা শক্তিগুলি এই সময়কালের মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, তালেবান হুমকি দিয়েছে যে, মে মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার না করলে ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হবে।
বর্তমানে আফগানিস্তান জুড়ে প্রায় ১৩০০ জার্মানি সৈন্য আছে। আমেরিকার পর আফগানিস্তানে সর্বাধিক সংখ্যক সেনা নিয়ে দ্বিতীয় বিদেশী দেশ এখন জার্মান। জার্মানি সৈন্যরা বর্তমানে উত্তর আফগানিস্তানে সামরিক ও রাজনৈতিকভাবে সক্রিয়। ২০২০ সালের নভেম্বরে জার্মান বাহিনী তালেবান মুজাহিদদের কাছে লাঞ্চনাকর পরাজয় বরণ করলে কুন্দুজ প্রদেশ থেকে সরে এসে বলখে স্থানান্তরিত হয়।
তালেবান মুজাহিদদের তীব্র হামলা ও আফগানিস্তান জুড়ে তাদের তৎপরতার ফলে জার্মান বাহিনী বর্তমানে কেবল বালখ প্রদেশে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। আকাশ পথ ছাড়া সকল যোগাযোগ পথ দখল করে আছে তালেবান মুজাহিদিন।
আফগানিস্তানে যাদের মওত লিখা আছে তাদের আসতে দাও আজরাঈল ওৎ পেতে বসে আছেন ৷