বগুড়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের বরণ করতে একই সময়ে পাল্টাপাল্টি দুই পক্ষের প্রস্তুতি সভা ডাকাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের সাতমাথায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সংঘর্ষ চলার সময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমানের সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের তিন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে জেলা সভাপতি-সমর্থিত অংশ।
সাজেদুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান ১৩ মার্চ বগুড়ার শেরপুরে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি’ পরিদর্শনে আসবে বলে কথা রয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের বরণ করতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে আজ প্রস্তুতি সভা ডাকা হয়।
কেন্দ্রীয় নেতাদের বরণ করতে একই সময়ে পাল্টাপাল্টি দুই পক্ষের প্রস্তুতি সভা ডাকাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান বলেন, ২১টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বগুড়া শহর কমিটির কর্মকাণ্ড সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার স্বার্থে বগুড়া শহর কমিটি (উত্তর) এবং শহর কমিটি (দক্ষিণ) দুই ভাগে ভাগ করে আলাদা কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী সংগঠনের কর্মকাণ্ডও পরিচালিত হয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় নেতাদের বগুড়া সফর উপলক্ষে আজ দুপুর ১২টায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উত্তর শাখার এবং বেলা তিনটায় দক্ষিণ শাখার প্রস্তুতি সভা ডাকা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী উত্তরের নেতা মশিউর রহমানের নেতৃত্বে সভা শুরু হলেও সেখানে দক্ষিণের সভাপতি নাছিমুল বারীর নেতৃত্বে কয়েকজন বাধা দেন। একপর্যায়ে হট্টগোল বাধিয়ে কিছু নেতা-কর্মীর ওপর হামলা করেন।
সাজেদুর রহমান আরও বলেন, এই সংঘর্ষে ৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল, উত্তর শাখার প্রচার সম্পাদক এনামুল এবং উত্তরের সদস্য সোহাগ আহত হয়েছেন। তাঁদের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের সংগঠন থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানো হবে।
নাছিমুল বারী আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের সফর উপলক্ষে বগুড়া শহর কমিটির পক্ষ থেকে পূর্বনির্ধারিত প্রস্তুতি সভা শুরু হয় দুপুর ১২টায়। সভা চলার সময় সেখানে “উত্তর কমিটি”র নেতা-কর্মী দাবি করা ১৫ থেকে ২০ জন বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষ মিলেমিশে প্রস্তুতি সভা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু জেলা কমিটির সভাপতি সাজেদুর সেখানে গিয়ে নিজেই আমাদের ব্যানার নামিয়ে “উত্তর শাখা”র ব্যানার টাঙান। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা একজন জেলার শীর্ষ এক নেতাকে গালিগালাজ করেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কি হয়।প্রথম আলো