ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান তার নতুন বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে যে, মার্কিন সেনারা চুক্তির নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে আফগানিস্তান ছেড়ে না গেলে মার্কিন ও ন্যাটো জোটের বিরুদ্ধে তাঁরা পুনরায় সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করবেন। দোহা চুক্তি নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের অস্পষ্ট মন্তব্যের পর এমনই ঘোষণা দিয়েছে তালেবান।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দখলদার মার্কিন প্রেসিডেন্ট দোহা চুক্তির বাস্তবায়ন সম্পর্কে অস্পষ্ট বক্তব্য প্রদান করেছে। একই সাথে ন্যাটো জোটের কয়েকটি সদস্য দেশ আফগানিস্তানে তাদের দখলদারিত্বের সময়সীমা আরো বৃদ্ধি করবে বলেও শোনা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে বিবৃতি প্রদানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে।
প্রথমত, দোহা চুক্তি আফগানিস্তানে বিগত ২০ বছর যাবত চলমান সংঘর্ষের ইতি টানার সবচেয়ে বিচক্ষণ এবং সংক্ষিপ্ত মাধ্যম, যার মাধ্যমে আফগানিস্তানে শান্তি ফিরে আসার প্রত্যাশা করা যায়।
দ্বিতীয়ত, ইমারতে ইসলাম এই চুক্তির বিষয়বস্তুসমূহ রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং আমরা আশা করছি আমাদের প্রতিপক্ষও আমাদের ন্যায় চুক্তি রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকবে, যুদ্ধবাজ এবং অশান্তি সৃষ্টিকারীদের প্ররোচনায় সায় দিয়ে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার এই উত্তম সুযোগকে হাতছাড়া করবে না।
তৃতীয়ত, আল্লাহ না করুন, যদি আফগানিস্তান থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব দখলদার সৈন্য না সরানো হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে এটা হবে চুক্তির লঙ্ঘন। এরপর যা হবে তার জন্য কেবল এবং কেবলমাত্র আমেরিকাই দায়ী থাকবে।
ইসলামি ইমারত সেক্ষেত্রে ইমানদার, অকুতোভয় এবং আফগান মুজাহিদ জাতির উত্তরসূরী হিসেবে দ্বীন এবং এই জমিন রক্ষার্থে সর্বাত্মক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হবে। তারা আফগানকে দখলদারদের রক্তভেজা হাত থেকে মুক্ত করতে অবশ্যই আল্লাহর রাস্তায় সশস্ত্র জিহাদে জান ও মাল ব্যয় করবে। তখন চুক্তির লঙ্ঘনের জন্য যুদ্ধ, মৃত্যু, ধ্বংস এবং ক্ষয়ক্ষতির জন্য শুধুই আমেরিকা দায়ী থাকবে।
এই দেশ আফগান জনগণ ও মুসলিমদের আবাসস্থল। এখানে যে আইন ও শাসন বাস্তবায়ন করা হবে তাতে কোনোভাবেই অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। অন্য কেউই তাদের শাসনব্যবস্থা আফগানদের উপর চাপিয়ে দিতে পারবে না। এরূপ কোনো অধিকারই তাদের নেই।
১৩ শাবান, ১৪৪২ হিজরি,
২৬শে মার্চ ২০২১ ঈসায়ী
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান
আআলহামদুলিল্লাহ???
আল্লাহ যেন আমাদের সহায় হন