‘মা আমি চাটখিলের একটি মসজিদে ইন্টারভিউ দিয়ে রমজানের খতমে তারাবির জন্য ইমাম নির্বাচিত হয়েছি। গতকাল আমার পরীক্ষা শেষে রোববার বাড়ি ফিরবো।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে শেষবারের মতো মাকে ফোন দিয়ে এ কথাগুলো বলেছিল কুমিল্লার সন্তান হাফেজ রবিউল হোসাইন।
হাফেজ রবিউল হোসাইন এর আর বাড়ি ফেরা হলো না! স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে হাটহাজারীতে পুলিশের গু’লিতে শহীদ হন এই কোরআনে হাফেজ।
হাফেজ রবিউল হোসাইন এর ছবি সহ লিখা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ব্যাপক ভাইরাল ফেসুবুক পেজ গ্রুপ আইডিতে পোস্ট হচ্ছে আর সেইসব পোস্টে অনেকে আক্ষেপ করে কমেন্ট করছেন শহিদ হাফেজ রবিউল হোসাইন এর জন্য সবাই করছেন দোয়া। সেই সাথে এই ঘটনার জন্য জানাচ্ছেন নিন্দা।
হাফেজ রবিউল চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে শেষবারের মতো মাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছেন ইন্টারভিউ দিয়ে রমজানের খতমে তারাবির জন্য ইমাম নির্বাচিত হবার খবর। হাফেজ রবিউল হোসাইন এর তারাবির নামাজ পড়ানোর স্বপ্ন বাস্তবায়নের আগেই চলে গেলেন মহান রবের কাছে।
হয়ত স্বপ্ন ছিল রমজান মাসে তারবির নামাজ পড়ানোর পর ঈদের আগে মা বা ভাই বোনের জন্য কতকিছু কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরবেন, সেইসব স্বপ্ন বাস্তবায়নের আগেই চলে গেলেন তিনি।
শুধু এক রবিউল নয় এমন আরো অনেক কুরআনের হাফেজ ত্বালেবে ইলমকে মুরতাদ পুলিশ নির্বিচারে গুলি করে শহীদ করে দিয়েছে। শহীদের তালিকা দিনে দিনে আরো লম্বা হচ্ছে।
আহ ! যখন আমি আমার ভায়ের শহীদ হওয়ার ঘটনা শুনি তখন অন্তরটা ভারাক্রান্ত হয়ে পরে,
এই কথা ভেবে ভেবে যে,আমি কি আমার ভায়ের এই রক্তের প্রতিশোধ যথাযথ ভাবে নিতে পারব??
নাকি তাদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করব,,??