হরতালকালীন তাণ্ডব চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা: হেফাজতে ইসলাম

0
1033
হরতালকালীন তাণ্ডব চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা: হেফাজতে ইসলাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাটহাজারিতে হেফাজতে ইসলামের হরতাল ও বিক্ষোভ কর্মসূচী চলাকালীন ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক গুপ্ত হামলা চালিয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সম্পদ ধ্বংস করার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী গতকাল (৩ এপ্রিল) শনিবার গণমাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে আজিজুল হক বলেন, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করার সাংবিধানিক অধিকার থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় হেফাজতে ইসলাম শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল কর্মসূচী পালন করেছে। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের হরতাল ও বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সহায়তায় নিয়োজিত চাপাতি-রামদা হাতে হেলমেট পরিহিত আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় গুপ্ত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আমরা এ ধরনের গুপ্ত হামলা ও তাণ্ডবের তীব্র নিন্দা জানাই। বিরোধী পক্ষের ওপর দায় চাপানোর জন্য এ ধরনের গুপ্ত হামলার ঘটনা আগেও বহুবার ঘটেছে। এবারও গুপ্ত হামলা করে তাণ্ডব চালিয়ে হেফাজতে ইসলামের ওপর সেটার দায় চাপিয়ে আমাদের শান্তিপূর্ণ হরতাল ও বিক্ষোভ কর্মসূচীকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিজিবিসহ অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা সত্ত্বেও আওয়ামী গুণ্ডাবাহিনী কর্তৃক অগ্নিসংযোগ ও তাণ্ডব চলাকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্বাভাবিক নিষ্ক্রিয়তা ও অনুপস্থিতির বিষয়টি মূলধারার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের এমপি ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী হরতালকালীন তাণ্ডবের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য মাহমুদুল হক ভূঁইয়া ও তার সমর্থকদের দায়ী করেছেন। এই সাংসদ ওবায়দুল মোক্তাদিরের নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী জামেয়া ইউনূসিয়া মাদারাসায় হামলা চালিয়েছিল। সুতরাং, আমাদের শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচী চলাকালীন বিচ্ছিন্ন তাণ্ডবের সাথে হেফাজতের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না; অথচ তদন্ত ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার আগেই কতিপয় মিডিয়া হেফাজতকে দায়ী করে প্রপাগান্ডা চালিয়েছে।

আজিজুল হক বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হলো, চট্টগ্রামের হাটহাজারি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় এত ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলো, অথচ তাণ্ডবকালীন হামলাকারীদের কোনো ভিডিও ফুটেজ বা ছবি পাওয়া যাচ্ছে না। কারা হামলা করলো বা তাণ্ডব চালালো—সিসি ক্যামেরায় নিশ্চয়ই সেসবের ভিডিও ফুটেজ থাকার কথা। কিন্তু সেসব ফুটেজ এখনো প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন? ফলে সবমিলিয়ে এটা বলা সঙ্গত যে, হেফাজতকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যেই এ ধরনের গুপ্ত হামলার তাণ্ডব ঘটানো হয়েছে। হরতাল পালনকালীন হেফাজতের নেতাকর্মী ও তৌহিদি জনতা পুলিশের নির্বিচার গুলির জবাবে আত্মরক্ষার্থে সারা দেশে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। কিন্তু কোনো ধরনের ‘তাণ্ডবে’র সাথে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও তৌহিদি জনতার জড়িত থাকার প্রমাণ নেই। হেফাজতের বিরুদ্ধে সব ধরনের কায়েমি স্বার্থবাদী অপপ্রচারণা অবিলম্বে বন্ধ হোক।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাদরাসা খোলা রাখায় মুহতামিমকে দশ হাজার টাকা জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধহাথরাসের গণধর্ষণ নিয়ে খবর করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস মামলা যোগীরাজ্য পুলিশের