ভারতে বেনারসের জ্ঞানভাপি মসজিদের সার্ভে করার জন্য নিম্ন আদালতের রায়ের পর মুসলিম সংগঠনগুলির প্রথম সারির নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ৮ এপ্রিল বেনারসের এক আদালত রায় দেয় যে, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার উচিত জ্ঞানভাপি মসজিদে সার্ভে চালানো। এটি নিঃসন্দেহে আশ্চর্যজনক ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। শুধু তাই নয়, এই রায় অনেক তুলে দিয়েছে অনেক প্রশ্ন।
উপাসনাস্থল (বিশেষ প্রভিশন) আইন, ১৯৯১ মেনে চলে দেশের ধর্মস্থলগুলি। ওই আইন অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালে ধর্মস্থল হিসাবে প্রচলিত স্থান সেই ভাবে থাকবে এবং এর কোনও পরিবর্তন হবে না। বেনারসের ফাস্ট-ট্র্যাক আদালত যে সুপারিশ করেছে তা ১৯৯১ সালের ওই আইনের বিরোধী। এমন সিদ্ধান্তের ফলে সামাজিক ও রাজনৈতিক দিকে যে প্রভাব পড়তে পারে তা সুখকর নয়। ঘৃণার রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক অনৈক্য বাড়তে পারে এর কারণে।
১৯৯১ সালের আইন মোতাবেক উপাসনাস্থল নিয়ে কোনও রকম পরিকল্পনা
ও ছক কষা জাতি ও জাতীয় স্বার্থের বিরোধী বলে ধরা হয়। এই আইনের বিরুদ্ধে সমস্ত ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত বিচারবিভাগ ও সরকারি সমস্ত প্রতিষ্ঠানের।
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের (এআইএমপিএলবি) পরামর্শ ও নির্দেশকে সম্মান জানাতে মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন করা হয়েছে এই বিবৃতিতে। বলা হয়েছে, ভাবাবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে মুসলিমদের এবং নিম্ন আদালতের দুর্ভাগ্যজনক রায়ের সুযোগ যাতে সমাজবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তি নিতে না পারে সে জন্য কাজ করে যেতে হবে। এই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম মজলিশে মুশাওয়ারাতের সভাপতি নাভায়েদ হামিদ, জামাতে ইসলামি হিন্দের আমির সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি, অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ড মনজুর আলম, জামিয়াত আহলে হাদিস হিন্দের আমির মাওলানা আশগর আলি ইমাম মেহদি সালফি, ইত্তেহাদে মিল্লাত কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাওলানা তৌকির রাজা খান, অল ইন্ডিয়া মোমিন কনফারেন্সের সভাপতি আইনজীবী ফিরোজ আহমেদ ও অল ইন্ডিয়া তামিরে মিল্লাত হায়দরাবাদের সভাপতি জিয়াউদ্দিন নায়ার।
উল্লেখ্য, বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির বানানোর ঘোষণার পর এবার অন্যান্য মসজিদগুলোকেও হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা দখল করার ষড়যন্ত্র করছে।
হে মালাউনের দলেরা…..
We are coming soon…