ধর্মীয় স্বাধীনতা আর মানবতার সবক শেখানো পশ্চিমা বিশ্বে ইসলাম বিদ্বেষ নতুন কিছু নয়। ইউরোপ-আমেরিকায় মুসলিমরা থাকবে আর ক্রুসেডার রাষ্ট্রদ্বয়ের আক্রোশের শিকার হবে না, তা কী হয়?
বর্ণবাদী আমেরিকা যখন কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যা নিয়ে আন্দোলনে মুখরিত, তখন প্রতিহিংসার শিকার আরেক কৃষ্ণাঙ্গ মুসলিম মোহাম্মাদ মুহাইমিনের শোকগাথা ঘটনা কতজনইবা জানে?
৪ই জানুয়ারী ২০১৭, নাগরিক পরিসেবা কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া সহায়সম্বলহীন মোহাম্মদ মুহাইমিন (৪৩) তার পোষা কুকুর নিয়ে পাবলিক টয়লেটের দিকে যাচ্ছিলেন। কেন্দ্রের আধিকারিক এসে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মুহাইমিনের পথরুদ্ধ করে। কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে ৯১১ এ ফোন দিয়ে পুলিশ ডাকা হয়। পুলিশ এসে সবকিছু মিটমাট করে ও তার সম্পর্কে পুরনো ফাইল ঘাটতে থাকে।
নিষিদ্ধ মারিজুয়ানা ড্রাগ রাখার দায়ে রাজ্য আদালতে প্রমাণে ব্যর্থ মুহাইমিনের নামে ভুয়া একটি ওয়ারেন্ট পুলিশ খুঁজে পায়।
টয়লেট থেকে ফিরলে বিদ্বেষী পুলিশ নতুন ফন্দি আঁটে। ঘটনাটি নাটকীয়ভাবে ভিন্ন খাতে মোড় নেয়। তারা মুহাইমিনের দুই হাত পিছনে নিয়ে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে দেয় ও হাটু গেড়ে বসতে আদেশ করে।
বর্ণবাদী তিনজন পুলিশ তাদের শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে মুহাইমিনের পা ও মেরুদণ্ড চেপে ধরে। আরেকজন পুলিশ হাঁটু দিয়ে মুহাইমিনের মাথা ও ঘাড়ে চাপ দেয়।
মোহাম্মদ মুহাইমিন যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন। “আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না”- বলে অনুনয় বিনয় করেন।
“দয়া করো আল্লাহ!”- বলে আকুতি জানান।
“আল্লাহ?” “তিনি এখন আর তোকে সাহায্য করবেন না”- মুহাইমিনকে চেপে ধরা এক নির্দয় পুলিশ অফিসার প্রতি উত্তরে বলে উঠে।
কিছুক্ষণ পর নড়াচড়া থেমে যায়! সব নিস্তব্ধ হয়ে উঠে! মুহাইমিনের নিথর দেহ ঘটনাস্থলেই পড়ে থাকে।
আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, আমেরিকার অন্যতম স্পর্শকাতর ও বেদনাবিধুর এই হত্যাকান্ডটি মিডিয়া সহ সবাই চেপে যায়। অপরদিকে এরিজোনা রাজ্যের ফনিক্স পুলিশ বিভাগ লোকচক্ষুর অন্তরালে নিজেরাই তদন্ত করে দোষী অফিসারদের মুক্ত করে দেয়।
মুসলিমদের উচিত,দারুল কুফর থেকে হিজরত করা।
কিভাবে?
ji inshaallah tori achi….