আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল ও যেসব অঞ্চলে তাদের প্রভাব রয়েছে, সেসব অঞ্চলের শান্তি ও জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেশ কিছু অভিযান চালাচ্ছেন।
বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানা যায়, সম্প্রতি মালিতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের উপর হামলা চালাতে শুরু করেছেন আল-কায়েদা মুজাহিদিন। হামলার কারণ সম্পর্কে বলা হয় যে, সেসব সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো জনসাধারণকে হয়রানী করে। তাদের মালামাল লুণ্ঠন করে। নিরপরাধ মানুষকে হত্যার মত জঘণ্যতম কাজের সাথে যুক্ত। তাই এসব সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকেই টার্গেট করে মুজাহিদগণ হামলা চালাচ্ছেন।
এরই ধারবাহিকতায় মালির সেগু রাজ্যের ফারাবুগু গ্রামে “ডোযো” সন্ত্রাসী গ্রুপের উপর হামলা চালিয়েছেন আল-কায়েদা শাখা জামায়াত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন এর মুজাহিদীনরা। এসময় মুজাহিদগণ সন্ত্রাসী গ্রুপটি থেকে অনেকগুলো স্থানীয় শটগান, শিকারী বন্দুক, গুলি এবং ৭টি মোটরসাইকেল গণিমত লাভ করেছেন।
ডোযো নামক সন্ত্রাসী গ্রুপটি উত্তর আইভোরি-কোস্ট, মালির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও বুরকিনা ফাসোতে বসবাস করে থাকে। পূর্বে এদের পরিচয় শুধু শিকারি হলেও মালিতে ২০১৭ সাল থেকে এরা মুরতাদ সরকারের সাথে যোগ দেয় এবং সরকার এদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে নিজেদের দলে ভিড়িয়ে নেয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে মালির মধ্যাঞ্চলের ওগোসাগো এবং ওয়েলিংগারা গ্রামে ফুলানি গোত্রবাসীর উপর গণহত্যা চালায় ডোযো নামক মুরতাদ সরকারের পোষা এই সন্ত্রাসী বাহিনী। তাদের নৃশংস আক্রমণের শিকার হয়ে প্রাণ হারান নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে ১৪০ জনের বেশি নিরপরাধ মানুষ।
ক্রুসেডার ফ্রান্স ও মালি সরকার মুজাহিদদের সাথে সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে না পেরে বর্তমানে মুজাহিদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে ও মুজাহিদ সমর্থক নিরপরাধ মুসলিমদের শহিদ করতে এসব সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে ব্যবহার করছে।
মুজাহিদদের বিরুদ্ধে এসব সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে ফান্স ও তাদের গোলাম সরকার। মূলত এজন্যই বাধ্য হয়ে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর উপর প্রায়ই আক্রমণ করে থাকেন জামায়াত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীনের জানবায মুজাহিদীনরা।