সরকারের অসহযোগিতার ফলে ক্রেতা নেই বিপণিবিতানগুলোতে

0
684
সরকারের অসহযোগিতার ফলে ক্রেতা নেই বিপণিবিতানগুলোতে

চলমান কথিত বিধিনিষেধে দোকানপাট-শপিং মল খোলা থাকছে রাত আটটা পর্যন্ত। এ নির্দেশনায় সোমবার সন্ধ্যায় ইফতারের পরেই রাজধানীর শপিং মল-মার্কেটগুলোতে ক্রেতার ভিড় একেবারেই কম ছিল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গণপরিবহন কম থাকায় ক্রেতারা মার্কেটে আসতে পারছেন না।

সোমবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট ও বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, কোনো মার্কেটেই ক্রেতাদের ভিড় নেই। রাত আটটার পর দোকানগুলোর ঝাঁপি নেমে যায়। অধিকাংশ দোকানেই সন্ধ্যার পর বেচাকেনা হয়নি বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।

নিউমার্কেটে কসমেটিকসের দোকান আছে আবুল কাশেমের। সন্ধ্যার পর থেকে দোকানে একদমই ক্রেতা নেই উল্লেখ করে তিনি বললেন, গণপরিবহন চালু না থাকায় মানুষ মার্কেটে আসতে পারছে না। কিছু মানুষ রিকশা করে অবশ্য আসছে। তবে বেচাকেনা একদমই হচ্ছে না। সন্ধ্যায় কিছু না বিক্রি করেই দোকান বন্ধ করতে হয়েছে তাঁকে।

নিউমার্কেটের ভেতরে নিচতলায় ক্রেতা একেবারেই কম ছিল। তবে নিউ সুপার মার্কেটের (দক্ষিণ) ভবনের দোতলা ও তিনতলার কয়েকটি দোকানে ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল। এই ভবনের একটি শার্ট ও টি–শার্টের দোকানি মো. আলামিন প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যায় ইফতারের পর তিনি দুটি শার্ট বিক্রি করতে পেরেছেন। এভাবে বিক্রি হলে তাঁরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।

জানতে চাইলে নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রাত আটটা পর্যন্ত বিপণিবিতান খোলা রাখা হচ্ছে। তবে বিপণিবিতানে বেচাকেনা একদমই ধীরগতিতে চলছে। এ কারণেই হয়তো মানুষ বিপণিবিতানে কম আসছে।

করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের কথিত বিধিনিষেধের কারণে ৫ এপ্রিল দোকানপাট-বিপণিবিতান বন্ধ হয়ে যায়। পরে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে বৈশাখের বিক্রির জন্য ৯ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলতে বাধ্য করা হয়। সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচ পর্যন্ত দোকানপাট ও বিপণিবিতান চালু আছে। তবে ১৪ এপ্রিল তা বন্ধ হয়ে যায় সরকারি নির্দেশনায়।

পরে ব্যবসায়ীদের আবারও প্রতিবাদের মুখে গত রোববার থেকে সারা দেশে দোকানপাট ও শপিং মলগুলো চালু হয়। সেদিন রাতেই ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজধানীতে শপিং মল–দোকানপাট রাত নয়টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। পরে প্রজ্ঞাপন হয়, রাত আটটা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা যাবে।

নিউমার্কেট থেকে বেরিয়ে গাউছিয়া মার্কেটে এসে দেখা যায়, নিচতলার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের কিছুটা ভিড় আছে। তবে মার্কেটের ভেতরের দোকানগুলোতে একদমই ক্রেতার আনাগোনা নেই। দোকানিরা চুপচাপ বসে আছেন।
গাউছিয়া মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট–সংলগ্ন ফুটপাতে অবশ্য ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল। গাউছিয়া মার্কেটের সামনের সড়কে ফুটপাতে চাদর বিক্রি করছিলেন ২৬ বছর বয়সী মো. রাজু। তিনি জানান, ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কম। তবে তিনি সন্ধ্যার পর দুটি চাদর বিক্রি করতে পেরেছেন। সাড়ে আটটার পর তিনিও বেচাকেনা গুটিয়ে ফেলেন।

রোজার মাসে সাধারণত মার্কেটে এক দিনে প্রায় এক লাখ দর্শনার্থী আসে। সে তুলনায় আজ মার্কেটে অনেক কম দর্শনার্থী এসেছে।
প্রথম আলো

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধটাঙ্গাইল থেকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হেফাজত ইসলামের নেতা
পরবর্তী নিবন্ধমোদির পরিবারে করোনা: মারা গেল চাচি