পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুর্কিনা ফাসোতে দেশটির সামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছেন আল-কায়েদা শাখা জামায়াত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন এর মুজাহিদীনগণ। তাদের অপ্রতিরোধ্য হামলায় বুরকিনা ফাসোর ৩ সেনা সদস্যসহ ২ স্প্যানিশ নিহত হয়েছে। তাদের সাথে থাকা আরো ৪ এরও বেশি সেনা সদস্য আহত হয়েছে, আটক করা হয়েছে আরো ৪ সেনা সদস্যকে। একই সাথে মুজাহিদগণ পেয়েছেন বড় আকারের গনিমাহ।
আঞ্চলিক সূত্র থেকে জানা গেছে, গত ২৭ এপ্রিল মঙ্গলবার, বুর্কিনা ফাসোর নাতিয়াবোনি অঞ্চলের প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে দেশটির সামরিক বাহিনীর একটি গাড়িবহরে আক্রমণ করেন আল-কায়েদা শাখা JNIM এর মুজাহিদীনরা। গাড়িবহরটিতে সরকারি বাহিনীর সেনা সদস্যরা ছাড়াও স্পেনের হয়ে এখানে কাজ করা দুই ব্যক্তি ও ফিল্মমেকার এবং বেশ কয়েকজন রেঞ্জার সদস্য ছিল।
এসময় মুজাহিদদের তীব্র হামলায় বুর্কিনা-ফাসোর ৩ সেনা সদস্য ও ২ স্প্যানিশ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৪ এরও বেশি সৈন্য। আহত সৈন্যরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ১ সৈন্যকে আটকও করেন মুজাহিদগণ।
এদিকে ক্রুসেডার ফ্রান্সের গোলাম বুর্কিনা-ফাসো সরকার দাবি করে যে, নিহতরা সবাই প্রথমে আল-কায়েদার যোদ্ধাদের হাতে বন্দী হয়েছে। যাদের মাঝে দুজন ছিল স্প্যানিশ সাংবাদিক।
এবিষয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিক ‘হুসাইন এজি’ তার টুইটার একাউন্টে লিখেন- আমি উল্লেখ করতে চাই যে, বন্দী করার পরে তাদেরকে হত্যার পদ্ধতিটি JNIM এর অনুসারি বা আল কায়েদার যুদ্ধকৌশল নয়, বরং তারা বন্দীদেরকে জিম্মি করে রাখে এবং মুক্তিপণের মাধ্যমে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ চাওয়া আদায় করে নেয়। আমি বলতে পারি, হয়তো JNIM এই হামলার সাথে যুক্ত নয় বা তারা সাংবাদিকদের হত্যা করেনি।
এই সাংবাদিক তার পরবর্তী পোস্টে লিখেন, বুর্কিনা ফাসোতে JNIM এর
ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র আমাকে জানিয়েছে যে, স্পেনীয় কথিত যে সাংবাদিকরা নিহত হয়েছিল, তারা সাংবাদিক ছিল না আর তাদেরকে বন্দীও করা হয়নি বরং সংঘর্ষের সময় এই দুই স্পেনীয় নিহত হয়েছিল।
এদিকে ‘ফ্রান্স-২৪’ সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে আরো যোগ করেছে যে, যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ৪ সেনা সদস্য এখনো নিখোঁজ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আল-কায়েদা যোদ্ধারা তাদেরকে বন্দি করে নিয়েছে।
যুদ্ধের ফলাফলস্বরূপ এই অভিযান থেকে আল-কায়েদার মুজাহিদগণ দুটি পিকাপ, ৩টি হেভি ও লাইট মেশিন গান, একটি একে সিরিজের রাইফেল এবং ১২টি মোটরসাইকেল গণিমাহ লাভ করেছেন।