পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি জেলায় যাত্রীবাহী দু’টি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ জনে। এছাড়া দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ট্রেনের বগিগুলোর মধ্যে এখনো ১৫-২০ জন আটকা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর দ্য ডনের।
ঘোটকি জেলার এসএসপি উমর তুফাইলের বরাত দিয়ে দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার সকালে সংঘর্ষের পরপরই ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আরও ১০ জনের মরদেহ পাওয়া যায়। সর্বশেষ রাতে উদ্ধারকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা ১১টি মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মোট ৫১টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে ৩৪ জনের পরিচয় মিলেছে। বাকিদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও অন্তত ১০০ জন যাত্রী।’
রেলওয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, মিল্লাত এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেন করাচি থেকে সারগোদার দিকে যাচ্ছিল। পথে রাইতি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে এটি লাইনচ্যুত হয়। এসময় রওয়ালপিন্ডি থেকে ছেড়ে আসা স্যার সাঈদ এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
গত বছরের ২১ জুলাই পাঞ্জাব প্রদেশের শেখুপুরায় করাচি থেকে লাহোরগামী শিখ তীর্থযাত্রী বহনকারী একটি ভ্যানকে ধাক্কা দিলে ২১ জন নিহত হয়। এছাড়া ২০১৯ সালের অক্টোবরে করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডিগামী ট্রেনের একটি গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৭০ জন যাত্রী মারা যান।
পাকিস্তানের রেল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২-২০১৭ সালের মধ্যে দেশটি মোট ৭৫৭টি রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতিবছর ১২৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।