মুসলমানদের আশঙ্কাই সত্যি হল। দেশে ইসলামোফোবিয়া প্রচারের ফল হাতে নাতে পেতে শুরু করেছে অস্ট্রিয়ার উগ্র ডানপন্থী প্রশাসন। মনে মনে বেশ খুশি অনুভব করছেন দেশটির চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কার্জ। কারণ দিনের শেষে বাজিমাত করেছে তার উগ্র জাতীয়তাবাদী ইসলামোফোবিক অ্যাজেন্ডা। পথে ঘাটে ইসলামকে বদনাম করার সরকারি কায়দা এতদিনে কাজে এসেছে। বিগত মাসে বিতর্কিত ইসলাম ম্যাপ প্রকাশ এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত মসজিদগুলির বাইরে ক্ষুব্ধ দাড়িওয়ালা এক মুসলিমের পোস্টার টাঙিয়ে দেওয়ার পর থেকেই ক্রমাগত হামলার শিকার হতে শুরু করেছেন সংখ্যালঘুরা। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ইইউভুক্ত দেশ অস্ট্রিয়ায় ইসলাম বিরোধিতা কতটা উগ্র রূপ ধারণ করতে চলেছে আগামী দিনগুলিতে।
শনিবার দেশটির এক মুসলিম সংগঠনের প্রধান বলেন, ’ইসলাম ম্যাপ’ প্রকাশ করার পর থেকেই বর্ণবিদ্বেষী হামলা নাটকীয় ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসলামিক রেলিজিয়স কমিউনিটি ইন অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট উমিত ভুরালের কথায়, ’মুসলিমদের ওপর হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের মসজিদগুলির বাইরে কুৎসিত চিহ্ন টাঙিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা বলেছি এই ওয়েবসাইটটিকে যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করতে, কারণ এটা বিপজ্জনক। আমি দু:খিত, আমাদের সব উদ্বেগ সত্যি প্রমাণ হয়েছে।’ ২৭ তারিখে অস্ট্রিয়ার সরকার তাদের ইসলাম ম্যাপে ৬০০টি মসজিদের নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করার পর থেকেই দেশে সক্রিয় হয়ে ওঠে বর্ণবিদ্বেষী দলগুলি। এরপর তারা মুসলিমদের বেছে বেছে টার্গেট করছে। বিগত দু’দিনে রাজধানী অস্ট্রিয়ায় হেনস্থার শিকার হয়েছেন বেশকয়েকজন মুসলিম। এ বিষয়ে ভুরাল বলছেন, ’স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে মুসলিমদের সঙ্গে আলাদা আচরণ করা হচ্ছে। আমরা যদি এদেশের স্বীকৃত ধর্ম হই তাহলে আমাদেরও বাকি ১৫টি ধর্মের মতো সমান অধিকার রয়েছে।