ভোলার লালমোহনে ৩৩৩ নম্বরে খাদ্য সহায়তা চেয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন ফারুক নামের এক দিনমজুর। উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ফাতেমাবাদ এলাকায় শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ফারুক মহামারি করোনাতে অভাব অনটন ও খাদ্য সংকটে ছিল। ফারুকের কষ্ট দেখে প্রতিবেশী আলমের মেয়ে রুমা শুক্রবার ফারুকের জন্য ৩৩৩ নম্বরে খাদ্য সহায়তা চেয়ে মোবাইল করে এবং ফারুকের পূর্ণ ঠিকানা প্রদান করে। পরে ৩৩৩ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-নোমানের কাছে ম্যাসেজ পাঠালে তিনি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে ওই ব্যক্তিকে সহায়তার জন্য বলেন।
চেয়ারম্যান তার এলাকার ছালাউদ্দিন দালাল ও হায়দার মেম্বারসহ ফারুককে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলেন। ফারুক ইউনিয়ন পরিষদে গেলে কেন ৩৩৩ নম্বরে খাদ্য সহায়তা চেয়ে মোবাইল করেছে জানতে চায় এবং তাকে বিভিন্নভাবে শাসানো হয়।
ফারুক অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেমে বাড়িতে আসার পথে হঠাৎ ৮-১০ জন লোক কোনো কথা না বলে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। আমি চিৎকার করলেও কেউ আসেনি। একপর্যায়ে আমাকে মেরে তারা চলে যায়। পরে আমি ভাড়া করা মোটরসাইকেলে বাড়িতে চলে যাই। আমি এখনও প্রচণ্ড অসুস্থ। টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা করাতে না পেরে বাজারের ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ খাচ্ছি।
এদিকে ফারুকের বাড়িতে সাংবাদিক যাওয়ার কথা শুনে চেয়ারম্যানের লোক ছালাউদ্দিন দালাল এলাকার লোকজন নিয়ে ওই বাড়িতে উপস্থিত হন। তিনি প্রভাব সৃষ্টি করে ফারুককে কথা বলতে বাধা দেন।
এক পর্যায়ে ছালাউদ্দিন দালাল বলেন, ফারুক ৩৩৩ নম্বরে কল করে অন্যায় করেছে, এলাকার সম্মান নষ্ট করেছে। আমরা একে সব ধরনের সুযোগ দিচ্ছি। তারপরও কেন সে ৩৩৩ নম্বরে কল করবে। অভাবে থাকলে সে আমাদেরকে বলবে।