ভারতের উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে এক বয়োজ্যেষ্ঠ মুসলিমকে হিন্দুত্ববাদী ভারতের গেরুয়া-সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে।
গত ২৩ জুন বুধবার উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর জেলায় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা এক মুসলিমকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
সুলতানপুর জেলার সিভিল লাইনস এলাকায় ঘটে যাওয়া এই পাশবিক হত্যাকান্ডটি ভারতের সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যপকহারে ভাইরাল হয়েছে।
যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যের হিন্দুত্ববাদীরা বয়োজ্যেষ্ঠ খুরশেদ আহমদকে (৫৫) গাছের সাথে বেঁধে নির্মমভাবে পেটাতে থাকে।
নিহত খুরশেদ উত্তরপ্রদেশের কোতোয়ালি অন্তর্গত ঘারহাখুর্দ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
খুরশেদের ছোট ভাই আনোয়ার মিডিয়াকে জানান, গত ২৫ জুন শুক্রবার পুলিশের নিকট “পিটিয়ে গণহত্যা” ধারায় মামলা করতে গেলে পুলিশ ইন্সপেক্টর তার অভিযোগটি পরিবর্তন করে “একমাত্র হিমাংশু পান্ডের” নামে হত্যা মামলা দায়ের করতে বলে।
আনোয়ার বিশ্বাস করেন তার ভাইয়ের হত্যাকারী একমাত্র হিমাংশু পান্ডেই নন। হত্যাকাণ্ডে আরো একাধিক হিন্দু জড়িত ছিল।
আনোয়ার বলেন,”যোগী পুলিশ অভিযোগ করছে খুরশেদের উপর প্রাণঘাতী হামলাটি বিবাদের ফলে সংগঠিত হয়েছে। কিন্তু এটা কোনভাবেই সম্ভব নয়। কারণ খুরশেদের সাথে কারো কোন বিরোধ ছিল না। প্রতিবেশি সবার সাথেই তার সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।”
পুলিশের তত্ত্বাবধায়ক ভিপিন মিশ্রা সংবাদ মাধ্যমে জানায়,”কিছু লোকের গণপিটুনিতে খুরশেদ মারাত্মকভাবে আহত হন। তিনি হিমাংশু পান্ডেকে দুষ্কৃতিকারী হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।
কিন্তু নিহত খুরশেদের পরিবার জানায়, খুরশেদ মানসিকভাবে অন্য সবার চেয়ে আলাদা ছিলেন। তিনি নিজে বিয়ে করেননি এবং তার কোন চাকুরিও ছিল না।
খুরশেদের ছোট ভাই আনোয়ার জানান,”খুরশেদ হাসপাতালে গিয়ে নবজাত শিশুর জন্য আযান দিতেন ও তাদের জন্য দোয়া করে আসতেন। তিনি নিয়মিত নামাজ পড়তেন।”
উল্লেখ্য, গত ২২ জুন মঙ্গলবার খুরশেদ নিখোঁজ হন। আর পরদিন বুধবার পরিবার তার মৃত্যুর খবর জানতে পারে।
একটি স্থানীয় সংবাদপত্র প্রতিবেদনে বলে, হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের কর্তৃক গণপিটুনিতে আহত খুরশেদকে মুমূর্ষু অবস্থায় তড়িঘড়ি করে নিকটস্থ জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল; কিন্তু মারাত্মকভাবে আহত খুরশেদ বুধবারই মারা যান।
আহ! হে শহীদ ভাই আমার, আমরা তোমার প্রতি ফোঁটা রক্তের হিসাব কড়া গন্ডায় আদায় করবো ইনশাল্লাহ।