সরকারের চাপিয়ে দেয়া লকডাউনে অর্ধেক দামেও মিলছে না দুধের ক্রেতা। সংরক্ষণ করতে না পারায় নষ্ট হচ্ছে লিটারের পর লিটার দুধ। অন্যদিকে, খামারিদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই কোরবানির পশু বিক্রি নিয়েও।
সামনে কোরবানির ঈদ। সে জন্য প্রায় ৩৭ মণ ওজনের একটি ষাঁড় প্রস্তুত করে তা নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের জিরাই গ্রামের প্রান্তিক খামারি শাহজাহান আলী। ধারদেনার টাকায় বহু কষ্টের ষাঁড়টির ন্যায্যমূল্য না পেলে পথে বসতে হবে তাকে।
শাহজাহান আলী বলেন, কোরবানিতে ষাঁড়টি বিক্রি করতে না পারলে আমার অনেক ক্ষতি হবে। অনেক ধারদেনা করে ষাঁড়টির খাবার জোগাড় করতে হয়েছে। দোকানে অনেক বাকিও পড়েছে গেছে। লালন-পালন করা ষাঁড়টি বিক্রি করেই ধারদেনা শোধ করার ইচ্ছা রয়েছে শাহজাহান আলীর পরিবারের।
অন্যদিকে জেলার রেস্তোরাঁ থেকে মিষ্টির দোকান লকডাউনে সবই বন্ধ। ফলে ৬০ টাকা লিটারের দুধ ৩০ টাকায় দিয়েও ক্রেতা পাচ্ছে না মহিমাগঞ্জের অ্যামেক্স ডেইরি। অনুরোধ করে অর্ধেক দামে দুধ দিয়েও ক্রেতা না মেলায় বাড়তি দুধ ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছে তারা।
খামারটির এক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, প্রতি লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ পড়ে যায় ৫০ থেকে ৫২ টাকার মতো। অথচ অর্ধেক দামেও বিক্রি করে দুধ থেকে যাচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৬০ লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে খামারটি বন্ধ হয়ে গেলে সেখানে কর্মরত ২০-২৫ জন কর্মচারী বেকার হয়ে যাবেন বলেও জানান তারা।
গত কোরবানি ঈদে ৬৭ হাজার পশুর চাহিদা থাকলেও এবার জেলার প্রায় ১৩
হাজার খামার ও ব্যক্তি পর্যায়ে প্রস্তত করা হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার পশু। অন্যদিকে ছোট বড় মিলে প্রায় ১১ হাজার খামারে প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে ৩৭৬ মেট্রিক টন দুধ।
যথেষ্ট কুরবানির পশু থাকার পর সকলের দুশ্চিন্তা সঠিকভাবে পশু ক্রয় বিক্রয় নিয়ে। সরকারের ত্বাগুত বাহিনী কোথাও পশুর হাট বসতেই দিচ্ছে না।
কোথাও বসলেও ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গরু নিয়ে আসা খামারীরা পুলিশের ঝটিকা অভিযানে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে।
এদিকে খামারীদের অভিযোগ, প্রশাসনের এমন অভিযানে তাদের অনেক গরু হারিয়ে গেছে।
এই গরীব মানুষগুলোর দুঃখের কোন মূল্যই নেই তাগুতদের কাছে!