ভারতের চিত্রকূটে চলা পাঁচ দিবসিয় সংঘ শিবিরে আরএসএস সন্ত্রাসীদের প্রধান মোহন ভাগবত প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে যে, আগামী দিনে মুসলিম বহুল এলাকাতেও সংঘের শাখা খোলা হবে। মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তর প্রদেশের সীমান্তে পাঁচ দিন ধরে চলা এই শিবির ১৩ জুলাই সমাপ্ত হয়। সংঘের এই শিবিরটিতে অনেক মুসলিম বিদ্বেষী সিদ্ধান্ত এবং বড় ঘোষণাও করা হয়েছে।
সংঘ পশ্চিমবঙ্গকে তিনটি জোনে ভাগ করে সংগঠনের আলাদা-আলাদা নেতাকে কার্যালয় চালানোর দায়িত্ব দিয়েছে। এই তিনটি জোনের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গের প্রধান দফতর কলকাতা, উত্তরবঙ্গের প্রধান দফতর শিলিগুড়ি এবং বর্ধমানে একটি সদর দফতর বানানো হয়েছে।
পাশাপাশি সংগঠনেও অনেক ফেরবদল করা হয়েছে। রমাপদ পালকে উড়িষ্যা আর বাংলার প্রচারকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রশান্ত ভট্টকে দক্ষিণ বঙ্গের প্রচারক বানানো হয়েছে। এর সাথে, ভাইয়াজী জোশী নামে খ্যাত সুরেশ জোশী এখন সংঘের পক্ষে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যোগাযোগ আধিকারিক পদ পরিচালনা করবে এবং অরুণ কুমারকে সংঘ এবং বিজেপির মধ্যে সমন্বয়কের ভূমিকা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও মোহন ভাগবত আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছে। যে, এবার দেশজুড়ে মুসলিম বস্তিতেও সংঘ তাঁদের শাখা খুলবে। সংঘ এখন প্রতিটি গ্রামে-গঞ্জে পৌঁছে হিন্দুদের পাশাপাশি মুসলিমদেরও আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা চালাবে।
প্রসঙ্গত, সময়ের সাথে সাথে সংঘ ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়াতেও পা রাখছে। এ সম্পর্কে একটি ঘোষণাও করা হয়েছিল, যাতে বলা হয়েছিল যে সংঘকে আরও শক্তিশালী করার জন্য সংঘের নিজস্ব আইটি সেল স্থাপন করা উচিত। এই নতুন আইটি সেলে সংঘ যুবকদের সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছে। তবে বিজেপি এবং সংঘের আইটি সেল সম্পূর্ণ আলাদা হবে।