তুর্কি সংবাদ মাধ্যম ‘দৈনিক সাবাহ’ নিউজ গত ২৯ জুলাই রিপোর্ট করেছে যে, ক্রুসেডার ন্যাটো জোটের একনিষ্ট সদস্য তুরস্ক নিজ দেশে মুরতাদ কাবুল সরকারের স্পেশাল সৈন্যদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প চালু করেছে।
তুর্কি কর্মকর্তারা বলছে, মুরতাদ কাবুল সরকারের বিশেষ বাহিনীর একটি দল গত বুধবার প্রশিক্ষণের জন্য তুরস্কে এসে পৌঁছেছে।
বেলজিয়ামে ন্যাটোর এক মুখপাত্র জার্মান ডিপিএ -কে নিশ্চিত করেছে যে, কাবুল সরকার তুরস্কে সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে, কিন্তু নিরাপত্তার কারণে অবস্থান বা বিবরণ সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে সে।
মুখপাত্র জানায়, “অব্যাহত অর্থায়ন এবং কূটনৈতিক উপস্থিতি ছাড়াও আফগানিস্তানের জন্য ন্যাটোর অব্যাহত সহায়তার মধ্যে রয়েছে বিদেশে আফগান বিশেষ বাহিনীর প্রশিক্ষণ।” প্রশিক্ষণ সবে শুরু হয়েছে। ”
তুরস্ক কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে সুরক্ষিত করার প্রস্তাব গ্রহণ করায় এই ঘোষণা আসে। তুর্কি কর্মকর্তারা বলছে, তারা বর্তমানে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যৌক্তিক ও অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে।
তালিবানরা হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর যদি তুর্কি সৈন্যরা আফগানিস্তানে থেকে যায়, তাহলে তাদের সঙ্গে দখলদারদের মতো আচরণ করা হবে।
আর সেক্যূলার তুরস্ক এখন আরও একধাপ এগিয়ে মুরতাদ কাবুল সেনাদেরকে নিজ দেশে নিয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। পূর্ব থেকেই বছরের পর বছর ‘গরগর’ নামক সোমালি একটি মুরতাদ বাহিনীকে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে কথিত জামানার সুলতান সোলেমান নামক ক্রুসেডারদের একনিষ্ট গোলাম এরদোগান।
উল্লেখ্য, ইমান ভঙ্গের অন্যতম একটি কারণ হল, মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফেরদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা। যদি কোন মুসলিম ব্যক্তি এমন কাজ করে তবে সে কুফরী করল।
মহান আল্লাহ বলেন, وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللهَ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِيْنَ ‘তোমাদের মধ্যে যে তাদের (বিধর্মীদের) সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ তা‘আলা যালিমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না’ (মায়েদাহ ৫১)। তিনি আরো বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا لاَ تَتَّخِذُوْا عَدُوِّيْ وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ تُلْقُوْنَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَقَدْ كَفَرُوْا بِمَا جَاءَكُمْ مِنَ الْحَقِّ يُخْرِجُوْنَ الرَّسُولَ وَإِيَّاكُمْ أَنْ تُؤْمِنُوْا بِاللهِ رَبِّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ خَرَجْتُمْ جِهَادًا فِيْ سَبِيْلِيْ وَابْتِغَاءَ مَرْضَاتِيْ تُسِرُّوْنَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَأَنَا أَعْلَمُ بِمَا أَخْفَيْتُمْ وَمَا أَعْلَنْتُمْ وَمَنْ يَفْعَلْهُ مِنْكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ السَّبِيْلِ–
‘হে মুমিনগণ! তোমরা আমার এবং তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ কর না। তোমরা তো তাদের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাও, অথচ তারা তোমাদের কাছে যে সত্য এসেছে, তা অস্বীকার করেছে। তারা রাসূলকে ও তোমাদেরকে বহিষ্কার করে এই অপরাধে যে, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছ। যদি তোমরা আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য এবং আমার পথে জিহাদ করার জন্য বের হয়ে থাক, তবে কেন তাদের প্রতি গোপনে বন্ধুত্বের পয়গাম প্রেরণ করছ? তোমরা যা গোপন কর এবং যা প্রকাশ কর, তা আমি খুব জানি। তোমাদের মধ্যে যে এটা করে, সে সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়’ (মুমতাহিনা ১)। পরের আয়াতেই মহান আল্লাহ বলেন, إِنْ يَثْقَفُوْكُمْ يَكُوْنُوْا لَكُمْ أَعْدَاءً وَيَبْسُطُوْا إِلَيْكُمْ أَيْدِيَهُمْ وَأَلْسِنَتَهُمْ بِالسُّوْءِ وَوَدُّوْا لَوْ تَكْفُرُوْنَ ‘তোমাদেরকে করতলগত করতে পারলে তারা তোমাদের শত্রু হয়ে যাবে এবং মন্দ উদ্দেশ্যে তোমাদের প্রতি বাহু ও রসনা প্রসারিত করবে এবং চাইবে যে কোনরূপে তোমরাও কাফির হয়ে যাও’ (মুমতাহিনা ২)। এ আয়াত থেকে বুঝা যায় যে, সুযোগ পাওয়ার পর তারা মুমিনদের সাথে উদার ব্যবহার করবে, তাদের কাছে এরূপ প্রত্যাশা করা দুরাশা মাত্র। তারা যখনই সুযোগ পাবে তাদের বাহু ও জিহবা মুসলমানদের অনিষ্ট করার জন্য প্রসারিত করবে। এজন্য তাদের সাথে মিল রাখা ভবিষ্যতে বড় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা থাকায় এ আচরণ ত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় ঈমান হারাতে হবে।