তুরস্কের বিভিন্ন স্থানে তিনদিন ধরে দাবানলের আগুন জ্বলছে। এতে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। হাজার হাজার দমকল কর্মী পানি দিয়েও আগুন নেভাতে পারছে না। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যেই ডজনখানেক গ্রাম এবং বেশ কিছু হোটেল থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে তুরস্কের আজিয়ান এবং ভূমধ্যসাগরীয় ১৭টি প্রদেশের প্রায় ৭০ জায়গায় দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। দাবানলের কারণে বিভিন্ন এলাকার তাপামাত্রা বেড়ে গেছে।
তুর্কি কর্তৃপক্ষ বলছে, শুক্রবার সকালের মধ্যে প্রায় ৫৭টি দাবানলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বা পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা গেছে। তবে বনমন্ত্রী বেকির পাকডেমিরলি বলেন, ওসমানিয়া, কায়সেরি, কোকাইলি, আদানা, মেরসিন এবং কুতাহইয়া এলাকায় এখনও দাবানলের আগুন জ্বলছে।
তিনি আরও জানান, ভূমধ্যসাগরীয় রিসোর্ট এলাকা আন্তালিয়া এবং আজিয়ানের রিসোর্ট প্রদেশ মুগলায় এখনও দাবানল নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পাকডেমিরলি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম যে, কিছু এলাকার আগুন আজ সকালের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। কিন্তু এগুলো আরও বাড়তে শুরু করেছে। আমরা এখনই বলতে পারছি না যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
বিভিন্ন জনপ্রিয় পর্যটন এলাকার হোটেল এবং বেশ কিছু গ্রাম থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, বাড়ির কাছাকাছি দাবানলের আগুন চলে আসতে থাকায় লোকজন বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে।
পাকডেমিরলি জানান, তিনটি বিমান, ৯টি ড্রোন, ৩৮টি হেলিকপ্টার, ৬৮০টি দমকলের গাড়ি এবং চার হাজারের বেশি সদস্য আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই রাশিয়া দাবানলের কাজে সহায়তা করতে তিনটি বিশাল বিমান মোতায়েন করেছে। প্রতিবেশী গ্রিসের বিভিন্ন স্থানেও দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে।
ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় শহর মানাভগেতে দমকল কর্মী আগুন নেভাতে কাজ করে যাচ্ছেন। সেখানে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অপরদিকে, বৃহস্পতিবার মাগলাস মারমারিস এলাকায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।