পৃথিবীর অন্যতম বর্বরোচিত অপরাধের শিকার হয়েছে দিল্লির একটি দলিত শিশু। বাড়ির কাছের এক শ্মশানের কুলার থেকে ঠান্ডা পানি আনতে গিয়েছিলো সে। তখনই শ্মশানের পুরোহিত এবং তিন সাগরেদ মিলে গণধর্ষণের পর হত্যা করে শিশুটিকে।
দিল্লির নাঙ্গেলি গ্রামের বাসিন্দা শিশুটির পরিবার জানিয়েছে, রবিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় শ্মশানে বসানো কুলার থেকে পানি আনতে গিয়েছিল মেয়েটি। কিন্তু তারপর অনেকটা সময় কেটে গেলেও বাড়ি ফেরেনি সে। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ শ্মশানের পুরোহিত রাধে শ্যাম এবং আরও দু-তিনজন শিশুটির মা-কে ডেকে জানায়, কুলার থেকে পানি ভরার সময় তড়িতাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মেয়েটির। পাশাপাশি, পুলিশকে খবর দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও জানায় তারা।
দরিদ্র পরিবারটিকে বোঝানো হয়েছিলো, পুলিশ এলেই ময়নাতদন্ত হবে, তাতে নাকি মেয়ের শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বের করে নেবে তারা। কাউকে কিছু না জানিয়ে দাহ করে দেওয়াই ভাল। তারপর পরিবারের অনুমতি না নিয়েই দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনকি মেয়ের দেহ ছুঁয়ে দেখতেও দেয়া হয়নি।
ঘটনার কথা জানাজানি হতেই শ্মশানে এসে পৌঁছায় প্রায় ২০০ গ্রামবাসী। তারাই পুলিশকে ফোন করেন। পুলিশ এলে পরিবারের ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় পুরোহিত রাধেশ্যামসহ কুলদীপ, লক্ষ্মী নারায়ণ এবং সেলিম নামে চার জনকে।
Very sad news