দেশের প্রথাগত সামাজিক নিয়মে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ালে তা সমাজের চোখে নিন্দনীয় ও ইসলামি শরিয়াতে জঘন্য অপরাধ হলেও কুফরী আইনে তেমন কোন শাস্তির বিধান নেই বলে জানিয়েছে ত্বাগুত প্রশাসনের ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) শফিকুল ইসলাম।
নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সে এসব কথা বলেছে। এ বিষয়ে আইনের কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেছে, ‘১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোনো নাগরিক পারস্পরিক সম্মতিতে সম্পর্কে জড়াতে পারে। যদি তা প্রতারণামূলক না হয় তাহলে পুলিশের তেমন কিছু করার থাকে না।
কেউ যদি এমন সম্পর্কের পর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগ না করে তাহলে সেটা দেশের আইনে বড় কোন অপরাধ বলে গণ্য হবে না। এমনকি আপত্তিকর অবস্থায় কাউকে পেলে মাত্র একশ টাকা জরিমানা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
আরও বলেছে, ‘আমি কোথাও অভিযান করে প্রখ্যাত মডেল বা উঁচুদরের মানুষকে আপত্তিকর অবস্থায় পেলাম, তাহলে আমি কী করতে পারি? তাকে ২৯২ এর অধীনে প্রসিকিউশিন দিতে পারি জরিমানা ১০০ টাকা। তাও যদি হাতেনাতে ধরতে পারি।
আর হাতেনাতে ধরতে না পারলে তো আর কোনো সুযোগ নেই।’ ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছে, কোনো মডেলকে সমাজের উঁচুদরের কারো সাথে আপত্তিকর অবস্থায় পেলে পুলিশের খুব বেশি কিছু করার নেই। কেননা আইনের চোখে এটি খুবই ছোট অপরাধ। এখানে আমাদের খুব বেশি কিছু করার নেই।
উল্লেখ্য, যিনা ব্যভিচারের মত জঘন্য কাজের শাস্তির ক্ষেত্রে তারা অক্ষম হলেও ১৮ বছরের নিচে বালেগ নারী পুরুষের শরিয়াহ সম্মত বিবাহের ক্ষেত্রে তারা দুঃসাহস দেখায়। এ ত্বাগুত প্রশাসন বাল্য বিবাহের নামে অসংখ্য হালাল বিয়েকে ভেঙ্গে দিচ্ছে। তাদের চোখে ‘১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোনো নাগরিক পারস্পরিক সম্মতিতে সম্পর্কে জড়াতে পারে’ কিন্তু কেউ যদি হারামভাবে যিনা না করে বৈধভাবে একাধিক বিবাহ করে তাহলে তাদের সমস্যা। আসল কথা হল তারা চায় সমাজে যিনা ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়ুক।
আর যিনার শাস্তির ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন,
اَلزَّانِیَۃُ وَ الزَّانِیۡ فَاجۡلِدُوۡا کُلَّ وَاحِدٍ مِّنۡهُمَا مِائَۃَ جَلۡدَۃٍ ۪ وَّ لَا تَاۡخُذۡکُمۡ بِهِمَا رَاۡفَۃٌ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰهِ اِنۡ کُنۡتُمۡ تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰهِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ ۚ وَ لۡیَشۡهَدۡ عَذَابَهُمَا طَآئِفَۃٌ مِّنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۲﴾
ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী— তাদের প্ৰত্যেককে একশত বেত্ৰাঘাত করবে(১), আল্লাহর বিধান কার্যকরীকরণে তাদের প্রতি দয়া যেন তোমাদেরকে প্রভাবান্বিত না করে(২), যদি তোমরা আল্লাহ্ এবং আখেরাতের উপর ঈমানদার হও; আর মুমিনদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্ৰত্যক্ষ করে।( সূরা নুর; আয়াত: ০২)
যখন সূরা নূরের এই আয়াত অবতীর্ণ হল, তখন নবী (সাঃ) বললেন যে, ‘আল্লাহ যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেই মত ব্যভিচারী পুরুষ ও নারীর স্থায়ী শাস্তি নির্ধারিত করে দিয়েছেন, তা তোমরা আমার কাছ হতে শিখে নাও। আর তা হল, অবিবাহিত পুরুষ ও নারীর জন্য একশত বেত্রাঘাত ও বিবাহিত নারী-পুরুষের জন্য একশত বেত ও পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা।’ (সহীহ মুসলিম, দন্ডবিধি অধ্যায়) অতঃপর বাস্তবে তিনি বিবাহিত (ব্যভিচারী)-দের শাস্তি দিয়েছেন পাথর মেরে, আর একশত বেত্রাঘাত (যা ছোট শাস্তি) বড় শাস্তির সাথে একত্রীভূত করে বিলুপ্ত করেছেন। অতএব এখন বিবাহিত নারী-পুরুষের ব্যভিচারের একমাত্র শাস্তি পাথর মেরে শেষ করে ফেলা। নবী (সাঃ)-এর যুগের পর খোলাফায়ে রাশেদীন তথা সাহাবাদের যুগেও উক্ত শাস্তিই দেওয়া হত। পরবর্তীকালের ফকীহগণ ও উলামাবৃন্দ এ ব্যাপারে একমত ছিলেন এবং এখনো একমত আছেন। শুধুমাত্র খাওয়ারিজ সম্প্রদায় পাথর ছুঁড়ে মারার এই শাস্তিকে অস্বীকার করে। ভারত উপমহাদেশেও আজকাল এমন কিছু মানুষ আছে, যারা উক্ত শাস্তির কথা মানতে অস্বীকার করে থাকে। এই অস্বীকার করার মূল কারণ হাদীস অস্বীকার করা। কারণ পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলার শাস্তি সহীহ ও শক্তিশালী হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এবং সেই সমস্ত হাদীসের বর্ণনাকারীর সংখ্যাও এত বেশি যে, উলামাবৃন্দ সেগুলোকে ‘মুতাওয়াতির’ (বর্ণনা-পরম্পরা-বহুল) হাদীস বলে গণ্য করেছেন। বলা বাহুল্য, হাদীসের প্রামাণিকতা ও তা শরীয়তের একটি উৎস হওয়ার কথা যাঁরা স্বীকার করেন, তাঁরা উক্ত শাস্তির বিধানকে অস্বীকার করতে পারেন না।( তাফসীরে আহসানুল বায়ান)
এসমস্ত ত্বাগুতরা যিনার মত ভয়াবহ অপরাধকে মানুষের সামনে তুচ্ছভাবে তুলে ধরে অশ্লীলতাকেই প্রমোট করছে। যা মানুষের অপরাধ প্রবনতাকেই বাড়িয়ে দিচ্ছে। কেননা হাতেনাতে ধরা না পড়লে কোন শাস্তি নেই । ধরা পড়ে গেলেও ভয় নেই মাত্র ১০০ টাকা জরিমানা!!!!
সে সত্য কথা বলছে, কারণ দেশের আইনে এটা আছে।
মদীনা সনদে দেশ পরিচালনা করার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে তারা সাধারণ মুসলিমদের ঈমানকে ধ্বংস করে যাচ্ছে।
এসকল মুরতাদ, তাগুতের উপর আল্লাহর লানত!
মাশাআল্লাহ
একজন আল্লাহর নাফরমান, তাগুত থেকে, এটাই আশা করা যায়, এর বিপরীতে কিছু আশা করা যায় না,
আল্লাহ আমাদেরকে এই তাগুতি ব্যবস্থাকে প্রতিহত করার মত তৌফিক দান করুন আমিন