আল-কায়েদা পূর্ব আফ্রিকা শাখা হারাকাতুশ শাবাব সমর্থিত মিডিয়াগুলো, পশ্চিমা পা চাটা গোলাম মুরতাদ কাবুল সরকারের পতন ঘটিয়ে তালিবান মুজাহিদদের বিজয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছে।
গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল বিজয় করেন ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের জানবায তালিবান মুজাহিদিন। তালিবান মুজাহিদদের বিজয় সংবাদগুলো এদিন খুব জোরালো ভাবে প্রচার করে হারাকাতুশ শাবাব সমর্থক মিডিয়াগুলো।
এরমধ্যে হারাকাতুশ শাবাবের অফিসিয়াল “আল-আন্দোলুস রেডিও” সবাচাইতে বেশি ভূমিকা রাখে। রেডিওটি সারাদিন তালিবান মুজাহিদদের আপডেট খবর সম্প্রচার করতে থাকে এবং কাবুল বিজয়ের পর রেডিওটি থেকে সোমালি ভাষায় সম্প্রচার হতে থাকে আমীরুল মু’মিনিন মোল্লা মোহাম্মদ ওমর মুজাহিদের কয়েকটি বক্তব্য। যার মধ্যে রয়েছে ক্রুসেডার মার্কিন বিরুধী যুদ্ধের পূর্বে আফগান জনগণকে উদ্দ্যেশ্য করে দেওয়া ঐতিহাসিক বক্তব্য। যা আজও মু’মিনদের হৃদয়কে নাড়া দেয়।
এছাড়াও “আল-আন্দোলুস রেডিও” থেকে এদিন সম্প্রচার হতে থাকে ইমারতে ইসলামিয়ার প্রয়াত আমীরুল মু’মিনিন মোল্লা ওমর ও শহিদ মোল্লা আখতার মোহাম্মদ মানসূর রহিমাহুমুল্লাহ্’র সংগ্রামী জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা। যা মধ্যরাত পর্যন্ত সম্প্রচার হয়।
আশ-শাবাব সমর্থক সোমালী মিমো লিখেছে,”আল্লাহু আকবার, ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের তালিবান মুজাহিদদের নিকট কাবুল সরকারের পতন হয়েছে! রাজধানী এখন তালিবান মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে।
এমনিভাবে কালমাদা লিখেছে,”ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান বিজয় উদযাপন করছে। রাজধানী কাবুলের রাজপথে কালেমা খচিত পতাকা শোভা পাচ্ছে! কাবুলে স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করতে তালেবান মুজাহিদরা টহল দিচ্ছেন।”
“দীর্ঘ ২০ বছর জিহাদের পর আফগান মুসলিমদের কাঙ্ক্ষিত বিজয় এসেছে। তালিবান নেতারা মার্কিন সমরাস্ত্রগুলোতে চেপে বসেছেন। হাজার হাজার মুরতাদ সৈন্য বিশৃঙ্খলভাবে আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়ে গেছে।”
অপরদিকে শাবাব নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের মসজিদগুলো থেকেও এদিন তাকবীর ধ্বনি শুনা যায়। সাধারণ মানুষও এদিন আনন্দে রাস্তায় নেমে আসেন।
উল্লেখ্য, তালিবান মুজাহিদদের কাবুল বিজয়ের পর অনেক বিশ্লেষকরা লিখছেন যে, মালি ও সোমালি মুরতাদ সরকারকেও শীঘ্রই আফগানিস্তানের ভাগ্যবরণ করতে হবে।