ব্রহ্মপুত্রে সেতু নির্মাণে শুধু পরামর্শক ব্যয়ই ৬০ কোটি টাকা

0
746
ব্রহ্মপুত্রে সেতু নির্মাণে শুধু পরামর্শক ব্যয়ই ৬০ কোটি টাকা

এক সেতু নির্মাণে পরামর্শক ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০ কোটি টাকা। এ ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ‘ময়মনসিংহে কেওয়াটখালি সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর একটি ব্রিজ, ওভারপাস ও ৬.২ কিলোমিটার সড়ক পৃথক এসএমভিটি লেনসহ ৪ লেনে নির্মিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি নির্মাণের শুরুতেই অস্বাভাবিক ব্যয় নজরে এসেছে। বর্তমানে প্রায় যেকোনো প্রকল্পের বিভিন্ন খাতে হওয়া মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় বারবার সমালোচনার কারণ হলেও থামানো যাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট মহলের এই পুকুরচুরি।

অস্বাভাবিক পরামর্শক ব্যয়

প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৩২০ মিটার স্টিল আর্চ ব্রিজ নির্মাণ, ৭৮০ মিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক, ২৪০ মিটার রেলওয়ে ওভারপাস, ৫৫১ মিটার সড়ক ওভারপাস, ৬.২০ কিলোমিটার এসএমভিটিসহ ৪ লেনের মহাসড়ক নির্মাণ এবং একটি টোল প্লাজা নির্মাণ।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি ৮৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকা এবং এশিয়ার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবির) ঋণ থেকে ১ হাজার ৯০৯ কোটি ৭৯ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয় করা হবে।

ব্রহ্মপুত্র নদের উপর বিদ্যমান শম্ভুগঞ্জ সেতুটি এই অঞ্চলের সাথে ময়মনসিংহ জেলা সদরসহ রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছে। ফলে অসংখ্য যানবাহন সেতুর উপর দিয়ে অতিক্রম করে। বিদ্যমান শম্ভুগঞ্জ সেতুর দৈর্ঘ্য ৪৫৫ মিটার এবং প্রস্থ ১১ মিটার।

সেতুর অ্যাপ্রাচে একটি চার রাস্তার মোড় রয়েছে। মোড় হতে সেতুটি মাত্র ২৫০ মিটার দূরে অবস্থিত। চার রাস্তা মোড়ের একপাশে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। ফলে শহরের বিভিন্ন দিক থেকে ট্রাফিক এসে সেতুটিতে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি করে। ময়মনসিংহ শহরের নিকট ব্রহ্মপুত্র অপর পাশে নতুন শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ফলে এই এলাকা হতে ভবিষ্যতে অসংখ্য ট্রাফিক তৈরি হবে। এখানে বিকল্প একটি সেতু নির্মাণ করা না হলে শহরে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।

 

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাশ্মীরে গেরিলা হামলায় সন্ত্রাসী দল বিজেপি নেতা নিহত
পরবর্তী নিবন্ধ৩ বছরের প্রকল্পে এক দশকে অগ্রগতি মাত্র ২৮ শতাংশ