সন্ত্রাস, মাদকবাণিজ্য, জমিদখল, চাঁদাবাজি, হত্যা ও ধর্ষণের মত একের পর এক অপরাধ ঘটিয়ে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। তাদের ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষ ইতিহাসও তাদের মতোই কলঙ্কময়। কখনো শিবিরের নামে ইসলাম পালনকারী ছাত্রদের মারধর, কখনোবা আলেম ওলামাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য আর কখনো জাতির রাহবার আলেমদের শারীরিকভাবে হেনস্তা করা – এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বরাবরই তাদের জাত চিনিয়েছে ছাত্রলীগ নামক এই সন্ত্রাসী সংগঠনটি।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার হিন্দুত্ববাদী ছাত্রলীগের গোপূজারী সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য তার বক্তব্যে ধর্মীয় জনগোষ্ঠীকে ‘উগ্র সাম্প্রদায়িক’ সম্বোধন করে বলেছে, “বাংলাদেশে কোন ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী রাজনীতি করার ক্ষমতা রাখে না। কোন সাম্প্রদায়িক শক্তি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে নষ্ট করার ক্ষমতা রাখে না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগই তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে যথেষ্ট।”
এই গোমূত্র পানকারী আরও বলে, “শিবির হলেই তাকে মারতে হবে।” খবর – যুগান্তর।
৯০% মুসলিমের দেশে একটি ধর্মীয় রাজনৈতিক দলের সদস্যদের প্রকাশ্যে মারার হুমকি দেওয়াকে ভারতের উগ্রবাদী কার্নি সেনার প্রধান সুরজ পাল আমুর প্রকাশ্যে মুসলিম হত্যার ডাকের সাথে তুলনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়া ভারত ও এর দালাল আওয়ামী সরকারের সমালোচনা করে কাবুলের ছবি সম্বলিত পোস্ট দেওয়ায় অধ্যাপক আসিফ নজরুল সম্পর্কে ছাত্রলীগের এই গুণ্ডা বলে, ” আমরা জানি কিভাবে এদের শায়েস্তা করতে হয়। ইতোপূর্বে তার চাইতে ‘বড় কুকুর’ লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছে।”
এছাড়াও আসিফ নজরুলকে ‘গণপিটুনি’ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতারিত করার হুমকিও দেয় সে।
কোটাসংস্কার আন্দোলন চলাকালীন সময় সহ আগেও বহুবার পিতৃসম শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এমন উদ্ধত কর্মকাণ্ড করেছে ছাত্রলীগ। হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারা কোন আদব-লেহাজের ধার ধারেনা – এসব ঘটনায় এটাই প্রমাণ হয় বলে মনে করেন অনেকে।
এই ঘটনার পাশাপাশি, দেশের প্রসাশনের আদলে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে হিন্দুদের ব্যাপকভিত্তিক পদায়ন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেছে অনেক সচেতন মুসলিমকে।