টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নে হালুয়াপাড়া-কর্মকারপাড়ায় গত জুন মাসে ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সড়ক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সড়ক নির্মাণের এক মাসের মধ্যে সড়কের বিভিন্ন অংশ ধসে পড়েছে।
নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে কাঞ্চনপুর হালুয়াপাড়া সেতু এলাকা থেকে কর্মকারপাড়া সেতু পর্যন্ত সড়কটির মাটি ভরাটসহ পাকাকরণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতর (এলজিইডি)। ৯৫০ মিটারের সড়কটি নির্মাণে কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাইস এন্টারপ্রাইস।
সড়কটির মাটি ভরাটসহ পাকাকরণের কাজ ২০২০ সালের মধ্যে শেষ হওয়ায় কথা থাকলেও, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেটা করতে ব্যর্থ হয়। দীর্ঘ দিন পর গত জুন মাসে সড়কটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়। কিন্তু সড়ক নির্মাণের এক মাস না পেরুতেই সড়কের দুই পাশের বিভিন্ন স্থান ধসে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, সড়ক নির্মাণে মাটির পরিবর্তে নিম্নমানের বালু ব্যবহার করেছে দুর্ণীতিগ্রস্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
রাস্তার সোল্ডারের জন্য মাটি বরাদ্দ থাকলেও এক ফিট সোল্ডারও করা হয়নি। সাফবেস ও ম্যাকাডামেও নিম্নমানের কাজ করেছে। সড়কে বালু ভরাটের সঙ্গে সঙ্গেই পাকাকরণের কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। রোলার দিয়েও পিটানো হয়নি সড়ক। ঐ সময় স্থানীয়রা বাঁধা দিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তারা নিজেদের মতো কাজ চালিয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা হাজী আব্দুর রহমান বলেন, একদিক দিয়ে বালু ফেলেছে অন্যদিক দিয়ে পাকাকরণের কাজ করেছে। সাইটে মাটি না ফেলেই পাকাকরণের কাজ করেছে তারা। আলগা মাটির উপর পাকা করায় সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। আমরা বাঁধা দিয়েছিলাম, কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোক কোনও কথা শোনেনি। এখন সড়কটি বাঁশ দিয়ে টিকিয়ে রেখেছে। পুরো সড়কের দুই পাশ ভেঙে গেছে।
কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ খান বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের সাইটে মাটিগুলো সঠিকভাবে দেয়নি। এছাড়া রোলার দিয়ে মাটিগুলো ভালোভাবে শক্তও করেনি। একদিকে মাটি ফেলেছে অন্যদিক দিয়ে পাকা করেছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই ধসে গেছে সড়কের দুই পাশ।
দেশটাকে আওয়ামী মুরতাদলীগ আঁখ চিবানো ছোবড়ার মত করে নিসর করে ফেলেছে। দেশটিতে যে পরিমাণ অর্থ ছিল সেটা দিয়ে আমরা ভালই থাকতাম কিন্তু দারিদ্র্য সীমার নীচে নামিয়ে এনেছে।