গাজীপুরে গার্মেন্টস কারখানায় টিকা নেয়ার পর গণহারে অসুস্থতার ঘটনা ঘটছে।
গাজীপুরের মৌচাক এলাকার সাদমা ফ্যাশন এবং টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকার শ্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা টিকা নেয়ার এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান জানায়, সকালে মৌচাক এলাকায় সাদমা গ্রুপের মৌচাক ফ্যাশন কারখানায় শ্রমিকদের করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়। ঘণ্টাখানেক পর থেকে টিকা নেয়া শ্রমিকরা অসুস্থ হতে শুরু করে। পরে তা গণহারে রুপ নেয়। দ্রুত তাদের আশে-পাশের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে নেয়া হয়।
এর আগে বুধবার (২৫ আগস্ট) গাজীপুরের টঙ্গীর শ্যাটার্ন টেক্সটাইল কারখানায়ও অসংখ্য শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য যে, দালাল মিডিয়াগুলো এ খবরটিকে হালকা করে প্রচার করছে। বলা হচ্ছে মাত্র অর্ধশতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়েছেন।
গাজীপুরে কর্মরত সিভিল সার্জন ডা. খাইরুজ্জামান এক হাস্যকর তথ্য দিয়েছে, সে জানায় তারা সাইকোজেনিক বা মনস্তাত্ত্বিক কারণে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। যার ফলে তারা ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছেন।
এখানে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্যণীয়: যেহেতু অনেক শ্রমিক একসাথে থাকে, তাই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি সহজে গণনা করা সম্ভব। যেমন- মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কারখানায় যখন টিকা দেয়া শুরু হলো, তখন একেক কারখানায় অল্প সময়ের ব্যবধানে ৪-৫ জন করে মারা যাওয়া শুরু করে।
অন্যদিকে, দীর্ঘ ২০ মাস ধরে কথিত করোনাকাল চলতেছে। শ্রমিকরা সুস্থ অবস্থায় কাজ করছে, কারখানাগুলোতে কোন সমস্যা হয় নাই। কিন্তু টিকা দেয়ার পর অসুস্থ হওয়াই বলে দেয় টিকা না দেয়াই ভালো ছিলো।