
শুনতে অদ্ভুত ঠেকলেও এমন তামাশাই করা হয়েছে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের হযরতপুরবাসীর সাথে। দুই পাশে মাটি ভরাট না থাকা সেতুটি মই বেয়ে উঠে পার হতে হয় সবাইকে।
শত শত মানুষজন ও শিশুরা প্রতিদিন যে খাল পার হয়ে স্কুল আর বাজারে, সেই খালের উপর দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর গতবছর ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৪শত টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করে; তবে অজ্ঞাত কারণে সেতুতে এখনো দেওয়া হয়নি কোন সংযোগ সড়ক। ফলে সেতু পারাপারে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাবাসিকে; বিশেষ করে বয়স্ক, নারী ও শিশুরা আছে বিপাকে। অনেকেই এটি পার হতে গিয়ে আহত হয়েছেন। খবর – স্টেট ওয়াচ।
স্থানীয় বাসিন্দা লোকমান মিয়া এক জাতীয় দৈনিককে বলেন, “জানি না এ সেতুটা কেন বানাইছে। উপকার তো দূরের কথা দূর্ভোগের স্থান হয়ে দাড়াইছে সেতুটা। দুপাশে রাস্তা করে দিলেই তো মানসের কাজে লাগতো ভালো কইরা।”
এলাকার এক মুরব্বি রসিকতার ছলে এমন মন্তব্যও করছেন যে, রাস্তার টাকা হয়ত প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের পকেটের ভেতর পড়ে গিয়ে হারিয়ে গেছে।
মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মিয়া বলেন, “… সেতুর দুই পাশে রাস্তায় মাটি কেটে রাস্তাটি দৃশ্যমান করে না তোলায়, যাতায়াতের ক্ষেত্রে দূর্ভোগ হচ্ছে।
এমন জনভোগান্তির বিরোধিতা করে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যেকোনো প্রকল্প শুরু করার আগে বিভিন্ন প্রাথমিক পরিকল্পনা যেমন – প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে কত সময় ও অর্থ দরকার, সঠিক সময়ের মধ্যে প্রকল্প শেষ করা সম্ভব কি না এবং সঠিক স্থানে প্রকল্প নিশ্চিতকরণসহ প্রতি ক্ষেত্রেই সুষ্ঠু পরিকল্পনার জন্য দরকার সৎ, যোগ্য ও দায়িত্বশীল লোকবল। নয়তো এভাবে ভোগান্তি কখনোই দেশের মানুষের পিছু ছাড়বে না।