তড়িঘড়ি করে আফগান ছাড়ল আমেরিকা, যাওয়ার সময় সাথে নিয়ে গেল তাদের ২০ বছরের দোসর আফগান নাগরিকদের কিছু সংখ্যক। বিমানবন্দরে ভিড় সামলাতে গুলি চালিয়ে কতককে হত্যাও করে তারা। তবুও ২০ বছরের আগ্রাসন আর নির্যাতন ছাপিয়ে তাদের কথিত উদ্ধার অভিযানকেই ফালাও করে প্রচার করেছিলো পশ্চিমা দালাল মিডিয়াগুলো।
তবে এখন আর শেষরক্ষা হচ্ছে না।
দুনিয়ার চোখে হিরো সাজতে নিজেদের অর্থনৈতিক দুরাবস্থেকে উপেক্ষা করেই আফগান শরণার্থীদের নিয়ে গিয়ে এখন তাদের সাথে অমানবিক আচরণ করছে আমেরিকা।
টেক্সাসের ফোর্ট ব্লিসে আশ্রয় পাওয়া হামিদ আহমাদি নামে এক আফগান শরণার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শরণার্থী ক্যাম্পে তাদেরকে দেওয়া খাবারের একটি ছবি পোস্ট করেছেন; সেই খাবারের প্লেটে ৩টি ছোটো পাতলা মাংসের টুকরা আর তার চেয়ে ছোট ৩ টুকরা পেঁপে ছাড়া আর কিছুই ছিলনা।
তার ঐ পোস্টে তিনি লিখেছেন যে, তাদের এইরকম আরেকটি মিল আবার ১২ ঘণ্টা পড়ে দেওয়া হবে।
তবে তার এমন ছবি প্রকাশকে ভালভাবে নেয়নি আমেরিকানরা।
তার ঐ পোস্টে লাভের্ন স্পাইসার নামে এক মার্কিন নারী মন্তব্য করেছে- “আমরা তোমাদেরকে আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার করলাম, ট্যাক্সপেয়ারদের টাকায় তোমাদের খাওয়াচ্ছি, আর তোমরা অভিযোগ করার সাহস দেখাচ্ছ! রিয়েল ব্রেইসন গ্রে’র ভাষায় বলছি, যদি তোমার এই দেশ ভাল না লাগে, তাহলে চলে যাও।”
এরোল ওয়েবার নামে আরেকজন মন্তব্য করে, “১৩ জন মেরিন সেনা জীবন দিয়ে তোমাদের এদেশে নিয়ে এসেছে, যাতে তোমরা ‘ফ্রি খাবার পছন্দ হয়নি’ লিখে টুইট করতে পার!”
কাসান্ড্রা নামের আরেক নারী মন্তব্য করে, “তুমি গুরুতর অভিযোগ করেছ। তোমার এই খাবার ভাল না লাগলে আফগানিস্তানের একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে যা ভাল লাগে খাও।”
মার্কিনিদের এমনই সব তির্যক মন্তব্যে সয়লাব হয়ে যায় হামিদের টুইটার একাউন্ট; এতে করে মার্কিনীদের অসৌজন্যতা আর তীব্র মুসলিমবিদ্বেষ প্রকাশ পাচ্ছে।
আফগান শরণার্থীদের এমন ভাবেই আপ্যায়ন করছে ‘মানবিক’ আমেরিকা। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে আমেরিকায় আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের একটা বড় অংশেরই হয়তো মোহভঙ্গ হবে এবং তারা আবার আফগানিস্তানে ফিরে যেতে চাইবে।