গণতন্ত্র- বর্তমান বিশ্বে জোড়ের উপর কৌশলে চাপিয়ে দেওয়া এক শাসনব্যবস্থা।
Government- of the people by the people for the people – এমন মুখরচক শ্লোগান দিয়েই মানুষকে শুরুর ধোঁকাটা দেওয়া হয়েছিল। এরপর কেটে গেলো কয়েক শতাব্দী। মাঝে সমাজতন্ত্র এসে একরকম বিদায় নিলেও, এখনো বিশ্ব মানবতার মুক্তির গলায় কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে এই গণতন্ত্র, প্রস্তুতি নিচ্ছে সত্যিকারের মানবমুক্তির ধারক দ্বীন আল ইসলামের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত যুদ্ধের।
গণতন্ত্রের ধ্বজাধারীরা গণতন্ত্রকে অমোঘ সত্য হিসেবে উপস্থাপন করেছে। নির্বাচন নামক প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তারা বিবেক-বোধশক্তিহীন একদল ক্ষমতালিপ্সু এলিটকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ক্ষমতায় আনে বারবার। বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ-বিএনপি, ভারতে কংগ্রেস-বিজেপি আর অ্যামেরিকায় ডেমোক্রেট-রিপাবলিক যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ; ঘুরে-ফিরে শুধু এরাই, অথবা অন্য কোন নিকৃষ্ট বিকল্প- যারা হবে আরও দুর্বল আরও ভীরু, আরও অত্যাচারী এবং আরও অনুগত।
যারা মানবতার কণ্ঠ যত কঠোরভাবে রোধ করতে পেরেছে, তাদেরকেই ক্ষমতায় দীর্ঘস্থায়ী কর হয়েছে। এরপর আরো ভয়ংকর দানবের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে আগের ছোটো দানবকে বিদায় করা হয়েছে। আমেরিকায় ট্রাম্পের পর বাইডেন কিংবা মিশরের মোবারকের পর সিসি, চীনের হু জিনতাও-এর পর সি জিংপিন কিংবা পাকিস্তানে নাওয়াজ শরীফের পর ইমরান খান যার নিষ্ঠুর বাস্তবায়ন।
বিশ্বমানবতা এভাবেই এই গণতন্ত্রীদের শোষণের জাঁতাকলে আটকে আছে গত কয়েক শতাব্দী ধরে।
এই গণতন্ত্রীদের সবচেয়ে বড় সফলতা হল, তারা তাদের অনুগত হলুদ মিডিয়া ও কথিত বুদ্ধিজীবীদের ব্যবহার করে তাদের এই কুকর্মকে সবসময় আড়াল করে রেখেছে। দালাল বুদ্ধিজীবী, হলুদ মিডিয়া আর তাদের গনতন্ত্রী প্রভুরা মিলে মানুষকে এই বুঝ দিয়ে বোকা বানিয়ে রেখেছে যে, গনতন্ত্রই হল মানবমুক্তির আসল পথ। এর মাধ্যমে মানুষ নিজে তার শাসক বেছে নিতে পারে। তারা বুঝিয়েছে যে, মানুষই নাকি সকল ক্ষমতার উৎস; এই মানুষই নিজেদের ক্ষমতা তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করবে, তখন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের কল্যাণে আইন প্রণয়ন করবে… ইত্যাদি ইত্যাদি…
তাই তারা বলেছে যে, গণতন্ত্র হচ্ছে শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ। সুতরাং, যারা গণতন্ত্রের বিরোধী- তারা শান্তিরও বিরোধী; আর যারাই শান্তির বিরোধী তাদেরকেই শক্তি প্রয়োগ করে দমন করতে হবে! এই প্রতারণার বাণীকে তারা দিব্যজ্ঞান সাজিয়ে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ লাগিয়েছে, কোটি কোটি বনি আদমের রক্ত ঝরিয়েছে। ফাতিমা আর আফিয়ার ইজ্জতকে তারা তাদের কুকুরদের জন্য জায়েজ বানিয়ে নিয়েছে। আর মানুষ জাদুগ্রস্তের মতো নির্বিকার হয়ে থেকেছে; যারা কিছুটা বুঝেছে, তারাও ঐ দুনিয়ার শক্তিতে বলীয়ান জালেমদের সব কুকীর্তিকে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ভেবে মেনে নিয়েছে।
গণতন্ত্রের মাধ্যমে শান্তি ও প্রগতিশীলতা প্রতিষ্ঠার অজুহাত দেখিয়েই গনতান্ত্রীরা সারা দুনিয়াকে নিজেদের উপনিবেশ বানিয়েছিল। এরপর মানুষকে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় তাদের এই জুলুমি শাসন ব্যবস্থা মেনে নিতে বাধ্য করেছে। আর ক্ষমতার মসনদে বসিয়েছে তাদের তাবেদার গোলামদের, তৈরি করেছে একদল বিবেকহীন এলিট শাসকগোষ্ঠী,- তাদেরকে পালাক্রমে শাসন ও শোষণ করার অধিকারও দিয়ে গেছে। আর ঐ তাবেদারদেরকে উচ্ছিষ্টটুকু খাইয়ে তারা নিজেরা বিশ্বের সকল সম্পদ একচ্ছত্রভাবে ভোগ করে গেছে।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমানাধিকার, প্রগতিশীলতা, নারী-স্বাধীনতা, মানবাধিকার কিংবা নিজেদের শাসক নির্বাচনের গণতান্ত্রিক অধিকার – এসব প্রতারণা আর ষড়যন্ত্রময় বুলি তারা দিনে-রাতে, প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বার বার মানুষের সামনেে প্রচার করে গেছে। এভাবে মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে তাদের ঘারের উপর চেপে বসা আসল শত্রুকে চিনতে ভুল করেছে, তাদেরকে নিজেদের বন্ধু ভেবে বসেছে। আর যারাই গণতন্ত্রের এই ধোঁকা থেকে মানবতার মুক্তির জন্য আপ্রাণ লড়াই করেছে, মানুষকে মানুষের গোলামি থেকে মুক্ত করে আল্লাহ্র গোলামিতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছে, সেই পরম বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদেরকে মানুষ শত্রু মনে করেছে।
যারাই, যেদেশেই গণতন্ত্রের এই জুলুমি পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ করেছে, গনতন্ত্রের এই ধোঁকাবাজি জনগণের সামনে খোলাসা করতে উদ্দত হয়েছে, কিংবা এই জালেমদের কবল থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে, তাদেরকেই ঐ গণতন্ত্রীরা সমূলে নির্মূল করতে চেয়েছে। তাদের উপর অত্যাচারের কঠোরতর কষাঘাত এনেছে- যেন আর কেউ তাদের এই জুলুমি পদ্ধতির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে সাহস না করে। ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ও মানবিক অধিকারের যত শ্লোগান তারা ব্যবহার করত, জুলুমের বিরুদ্ধ প্রতিবাদকারীদের দমন করতে তারা এর কোনটিরই ধার ধারেনি।
তবে মানবতার ঐ বন্ধুদের পর্বতপ্রমাণ দৃঢ়তা ও অটল ঈমানের সামনে ঐ দাম্ভিক জালেমেরা বার বার পরাস্থ হয়েছে বারে বার। ঈমান ও মানবমুক্তির দাবিতে সোচ্চার ঐ বীরেরা শত অত্যাচার আর জুলুম সহ্য করেছেন, আর জালেমের মূল উৎপাটনের সংকল্পে তাঁরা থেকেছেন অটল-অবিচল। মহান রবের সাহায্যে তাদের সফলতার সামান্য নমুনা আমরা দেখেছি সম্প্রতি আফগানিস্তানে।
মুক্তিকামী মুজাহিদের কৌশলী অগ্রযাত্রা এবং সর্বশক্তিমান রবের সাহায্যে গণতন্ত্রী জালেমরা এখন তাদের আসল রূপে মানুষের সামনে প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছে। দেশে দেশে গণতন্ত্রীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ধ্বস এবং আদর্শিক পরাজয় তাদের জুলুম ঢেকে রাখার চাকচিক্যময় চাদরকে খসিয়ে দিয়েছে। মানুষ দেখেছে আফগান থেকে কথিত প্রগতিশীলতার ধ্বজাধারী অ্যামেরিকার লেজ গুটিয়ে পলায়ন, অত্যাচারী জায়নবাদি ইহুদিদের ও আগ্রাসী হিন্দুত্ববাদীদেরকে তাদের অন্ধ সমর্থন। মানুষ আরও দেখেছে কথিত বাকস্বাধীনতার ইউরপের ইসলাম বিদ্বেষ, নাটের গুরু আমেরিকার ফ্লয়েড কাণ্ড। আর নির্বাচন পরবর্তী অ্যামেরিকার ক্ষমতাবানদের উদ্যম সহিংসতা। আফ্রিকাজুড়ে পশ্চিমাদের ক্ষমতার পটপরিবর্তনের নোংরা খেলার পাশাপাশি মানুষ আরও দেখেছে গণতন্ত্রের খোলসে উগ্র হিন্দুত্ববাদের অভ্যুত্থান।
বাংলাদেশের হাসিনা সরকার, নির্বাচনের নামে প্রহসন, এমনকি সামান্য ইউপি নির্বাচন নিয়ে দেশজুড়ে রক্তের হোলিখেলা – এসবই এলিট ক্ষমতাবানকেন্দ্রিক গণতন্ত্রের জুলুমি ব্যবস্থার সামান্য অংশ মাত্র।
সব মিলিয়ে মানুষ এখন গণতন্ত্রের ধোঁকা আস্তে আস্তে বুঝতে পারছে।
তবে জাদুগ্রস্তের মোহভঙ্গ হতে সময় লাগে, শতাব্দী পুরনো অন্ধবিশ্বাসও তেমনি অন্তর থেকে দূর করতে তাই মানুষের কিছুটা সময় লেগে যাচ্ছে। আর এই সুজগটাই নিচ্ছে গণতন্ত্র ও প্রগতিশীলতার ধ্বজাধারীরা। অনেকে এখন এই ধারণা প্রচার করছে যে, গণতন্ত্রের ভুল প্রয়োগের কারণে সারা বিশ্বে এই অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সঠিক গণতন্ত্র বা গনতন্ত্রের সঠিক প্রয়োগ হলে নাকি এমনটা হতোনা।
সত্যিই কি তাই.?!. সত্যিই কি তাদের কল্পিত সঠিক গণতন্ত্রের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব?
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য আছে, যার কিছু আমরা শুরুতেই আলোচনা করেছি, এগুলোকে বাদ দিয়ে গণতন্ত্র কল্পনা করা যায় না।
এর মধ্যে একটি হলো জনগণের সম্মতি। গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের সম্মতির উপর নির্ভরশীল। আর জনগণের সম্মতি প্রকাশের মাধ্যম হলো নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ সরকার গঠন বা পরিবর্তন করে থাকে। গণতান্ত্রীরা মনে করে, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠীকে বিনা রক্তপাতে ক্ষমতা থেকে বিদায় করা যায় বা পছন্দনীয় দল ও ব্যক্তিকে ক্ষমতায় বসানো যায়, অথচ বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
গণতন্ত্রের এই বৈশিষ্ট্যের বাস্তবায়নে প্রতি নির্বাচনেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যার সাম্প্রতিক প্রমাণ ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আঞ্চলিক পর্যায়ের এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই কয়েক সপ্তাহে অন্তত শ’খানেক মানুষ নিহত হয়েছে, আর আহতের সংখ্যা গণনাতীত।
এখানে পাকিস্তানের উদাহরণও আনা যেতে পারে।
বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অ্যামেরিকার সর্বশেষ নির্বাচনের সহিংসতা অথবা আফ্রিকা ও ল্যাটিন অ্যামেরিকার দেশগুলোতে আমরা দেখে থাকি। আর কথিত সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের নির্বাচনী সহিংসতা বিশ্বের সকল দেশের সম্মিলিত সহিংসতাকেও হয়তো পেছনে ফেলে দিবে।
তাই বলা যায়, গনতান্রিক এই নির্বাচন প্রক্রিয়া মানুষের মাঝে শুধু হানাহানি আর সহিংসতাকেই উস্কে দেয়; গনতান্ত্রিক জুলুমি ব্যবস্থার প্রবর্তকদের বিশ্ব শাসনের কুচক্র ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ নীতিকে শক্তিশালী করতেই এটি বেশি কার্যকর বলেই প্রমাণ হচ্ছে।
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো বহু রাজনৈতিক দলের উপস্থিতি। অন্তত দুটি রাজনৈতিক দল তো থাকেই। আর দুটি রাজনৈতিক দল থাকার মানেই হলো, পুরো দেশের জনগণ অন্তত দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়া।
অর্থাৎ গণতন্ত্রের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এটি দেশের মানুষকে কথিত রাজনৈতিক পরিচয়ে বিভক্ত করে ফেলা।
যেমন: বাংলাদেশে বহু রাজনৈতিক দল আছে। এর মধ্যে প্রধান দুটি দল হলো, বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ। দেশের জনগণ প্রধানত এই দুটি দলে বিভক্ত হয়ে গেছেন। আর এই কারণেই দেখা যায়, নির্বাচন ছাড়াও সারা বছরই রাজনৈতিক বিভক্তিকেন্দ্রীক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে দূরে থাক, দেশজুড়ে সবসময় অস্থিতিশীলতা আর উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করে। ঘরের পাশে ঘর হওয়া সত্ত্বেও কেবল রাজনৈতিক পরিচয় ভিন্ন হওয়ায় প্রতিবেশীর সাথে সর্বদা দ্বন্দ্ব লেগে থাকে, নিরাপত্তাহীনতায় কাটে সারাক্ষণ।
আর এসব ঢাকতেই গণতন্ত্রের পূজারীরা গণতন্ত্রের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার বুলি আওড়াতে থাকে ক্রমাগত, দিন রাত বিরামহীন।
এই গণতন্ত্র দিয়ে আজ পর্যন্ত কোথাও শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি তারা, আর কখনও পারবেও না। তবুও তারা এই জুজু প্রচার করে বেড়ায় যে, গণতন্ত্র না থাকলে বিশ্বময় ধর্মীয় সহিংসতা আর উগ্রবাদ বিরাজ করবে।
তাহোলে গণতন্ত্র শক্তিশালী থাকার পড়েও কেন কথিত সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে হিন্দুত্ববাদী সহিংসতা সয়লাব করেছে.?. – এই প্রস্নের উত্তর গণতন্ত্রীদের জানা নেই বা এই প্রশ্নের আসলে কোন বাস্তব সদুত্তর নেই।
তাই এই সত্যকে আজ মেনে নিতে হবে যে, শুধুমাত্র ক্ষমতাবান এলিট শ্রেণীর জুলুম দুর্নীতি আর লুটপাটকে টিকিয়ে রাখতেই এই গনতান্ত্রীরা তাদের এই ‘বিগ লাই’ বা বড় মিথ্যাকে বার বার প্রচার করে, একেক জায়গা থেকে, একেক জনের মাধ্যমে,- যেন শুনতে শুনতে এই মিথ্যাটাই জনগণের মনে সত্য হিসেবে বসে যায়।
গত শতাব্দীকাল জুড়ে এমন প্রতারণার খেলাই খেলা হয়েছে বিশ্ববাসীর সাথে; সত্যকে মিথ্যা আর মিত্তাকে সত্য বানিয়ে, বন্ধুকে শত্রু আর শত্রুকে বন্ধু বানিয়ে বানিয়ে বোকা ও হীনবল করে রাখা হয়েছে জনগণকে।
বাস্তবে যে গণতন্ত্র নিজেই একটা বিশৃঙ্খলা, সেই গণতন্ত্র যে দেশ সমাজ ও বিশ্বের বিশৃঙ্খলা দূর করে শান্তি আনতে সক্ষম নয়- সেটা তার অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্যের কারণেই।
অন্ধকারের আবরণ খসে পরে মুক্তি ও স্বাধীনতার নতুন সূর্যের উন্মেষ হতে চলেছে, তবে পারি দিতে হবে আরও কিছু পথ।
জনগণের উপর এখন তাই দায়িত্ব বর্তায়- এই পতনমুখী গণতন্ত্রকে বর্জন করে নিজেদের ও বিশ্ব মানবতার মুক্তিকে ত্বরান্বিত করা, গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রীদের মিথ্যাকে পরিত্যাগ করা।
‘সঠিক গণতন্ত্রের প্রয়োগ’ বা ‘গণতন্ত্রের প্রকৃত বাস্তবায়নের’ মত ধোঁকার ফাঁদে আর না পরে মানবতার আসল বন্ধুদেরকে চিনে নেওয়া এবং তাদের কাতারে শামিল হয়ে যাওয়া। গণতন্ত্রীরা বিশ্বমানবতার বিরুদ্ধে তাদের চূড়ান্ত আক্রমনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছে। তারা কিছুতেই তাদের কর্তৃত্ব, ক্ষমতা আর জুলুমে গড়া বিলাসিতা শেষ হতে দিবে না।
গনতন্ত্রের মানসিক দাসত্ব ও বিভক্তি থেকে মুক্তিই তাই হোক জুলুম থেকে মুক্তি ও মানবমুক্তির প্রথম সোপান।
লেখক: সাইফুল ইসলাম