
৮ ডিসেম্বর, বুধবার ঘোষিত হলো বহুল প্রতীক্ষিত বুয়েটের মেধাবী ছাত্র দেশপ্রেমিক আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়। রায়ে ২০জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
খুনিদের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে দেশবাসী আনন্দিত হলেও সচেতনমহল আনন্দিত হতে পারেননি। এর বেশকিছু কারণ আছে। উচ্চ আদালত, আপিল বিভাগ কিংবা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে ঘোষিত রায় কার্যকর হওয়া অনিশ্চিত। চলমান মনগড়া আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে খুনিরা বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ এখনও রয়েছে। তাই, রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না অনেকে।
তাছাড়া, আবরার হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দেওয়া ইসকন সদস্য অমিত সাহাকে মৃত্যুদণ্ড না দেওয়ায় আবরারের মা পুরোপুরি খুশি হতে পারেননি। তিনি উগ্র হিন্দু নেতা অমিত সাহার মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানিয়েছেন।
আবার আবরারকে হত্যার প্রকৃত কারণ ধামাচাপা দেওয়ার যে চেষ্টা চালাচ্ছে মিডিয়া, সেই কারণেও অনেকে খুশি হতে পারছেন না। বাংলাদেশের প্রতি ভারতের দ্বিমুখী ও বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ আচরণের সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন আবরার ফাহাদ। আর এই কারণেই ২০১৯ সালের ৭ই অক্টোবর বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ইসকন সদস্য অমিত সাহার নেতৃত্বে নির্মমভাবে পিটিয়ে আবরারকে হত্যা করে ভারতের দালাল ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। মিডিয়া সচতুরভাবে এই বিষয়টিকে চেপে যাচ্ছে।
প্রথম আলো, বিবিসি বাংলাসহ ভারতের দালাল মিডিয়াগুলো আবরার হত্যার কারণ হিসেবে ভার্সিটির র্যাগিং কালচার কিংবা ছাত্ররাজনীতির বলি হওয়ার কথা বলছে। আবরার ফাহাদ যে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আগ্রাসী ভারতের এদেশীয় দালালদের হাতে নিহত হয়েছেন, তা গোপন করছে। ভারতের দালাল মিডিয়ার এমন আচরণে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আবরার যে মহৎ উদ্দেশ্যের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন, দালাল মিডিয়াগুলো সে উদ্দেশ্যকেই বিকৃত করে দিচ্ছে।
আফসোস!