বাংলাদেশের জনগণকে কুক্ষিগত করে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষ নতুন কিছু নয়। তারা নানা রকম চক্রান্ত্র করতেই থাকে কিভাবে উলামায়ে কেরামের ব্যাপারে বদনাম করএ যায়। কেননা উলামায়ে কেরাম তাদের ইসলাম বিদ্বেষকে জনগণের সামনে তুলে ধরেন।
অবৈধ ক্ষমতা আর কালো অর্থের দাপটে তারা সমাজে এলিট ও হিরো সেজে আছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে তারা নিজেদের খেয়াল খুশি মত ব্যবহার করছে।
কিন্তু তাদের চরিত্র এতটাই নোংরা যা ভাষায় ব্যক্ত করা সম্ভব নয়। তাদের খোলস তারা সাজিয়ে রাখে অত্যন্ত চকচকে করে, কিন্তু তাদের ভিতরটা অত্যন্ত কুৎসিত ও নোংরা। প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত সকলে নিষ্পাপ ওলি সজে থাকে। তাদের অপকর্ম প্রকাশ না হলে জনগণ জানতেও পারতো না তাদের চরিত্র অতটা কুৎসিত।
সম্প্রতি ফেসবুকে নায়িকা মাহি ও ডা. মুরাদ হাসানের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। মুরাদ মূলত ইমনের ফোন নম্বরে কল দিয়ে মাহিকে চায়। মাহি ফোন ধরলে অশ্লীল-আপত্তিকর ভাষায় কথা বলে মুরাদ। সে মাহিকে তার সাথে দেখা করতে বলে ও না গেলে গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে তুলে আনার হুমকি দেয়।
এমনকি মাহিকে ধর্ষণের ইচ্ছাও প্রকাশ করে আওয়ামী চেতনাধারী এই মন্ত্রী।
এ অডিও ফাঁস হওয়ার আগে বিএনপি নেত্রী ও তার নাতনিকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয় ঐ মুরাদ। পরদিন আরো একটি অনলাইন সাক্ষাৎকারে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীকের নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুর এই আদর্শের সৈনিক।
অথচ এরাই আবার নারী অধিকার, নারী ক্ষমতায়নের বুলি আওড়ায়, আলেম-ওলামাদেরকে নারীবিদ্বেষী ট্যাগ লাগায়!
কিছুদিন আগেই সে এক বক্তব্যে ইসলামের একাধিক বিয়ে নিয়ে সমালোচনা করে বলেছিল- আমরা বাঙ্গালীরা এক বিয়েতে বিশ্বাসী। পুরুষদের একাধিক বিয়ে নিয়ে তার ভীষণ আপত্তি, কিন্তু বিবাহ ব্যতিত একাধিক নারীর সাথে মেলামেশা চালিয়ে যাওয়াতে বা অন্য নারীদের ধর্ষণ করার ইচ্ছা প্রকাশে তার কোন আপত্তি নেই, সেটায় সে কোন সমস্যা দেখেনা। সে নিজেই এই কাজ করে তার অনুসারিদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছে।
এটাই আওয়ামী চেতনাধারী আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের প্রকৃত চেহারা; ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা এর প্রমাণ যুগ যুগ ধরেই রেখে এসেছে, আর তাদের মুরুব্বি মুরাদ গংরা এখন দেখাচ্ছে। কোন নারী রাজি না হলে ধরে এনে ধর্ষণের হুমকি দাতারাই আবার মাঠে ময়দানে আলেমদের নারী বিদ্বেষী প্রমাণে ব্যস্ত।
আসলে তাদের মুখের কথা আর বাস্তবতার কোন মিল নেই। তাই এখন ভেবে দেখতে হবে, তারা যে তাওহিদবাদী মুসলিমদের সন্ত্রাসী প্রমাণ করতে নাটক সাজায়, সেগুলোর আদৌ কোন ভিত্তি আছে কি না?
যাদের নিজেদের চরিত্রই এমন কুৎসিত, যাদের হাতে শত-সহস্র মুসলিমের রক্তের দাগ লেগে আছে, হাজার হাজার আলেম-ওলামা এখনো যাদের কারাগারে বন্দী রয়েছে – তাদের কি আদৌ কোন অপরাধ ছিল.?. নাকি মুরাদ গংদের নোংরা চরিত্র, দুর্নীতি আর সব অপকর্মকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে?
তথ্যসূত্র:
—–
১.‘দুই বছর আগে লোকটা নারীদের এসব কুৎসিত কথা বলত!’
https://tinyurl.com/bddxnxw8
২. মুরাদের অশ্লীল অডিও সরাতে নির্দেশ
https://tinyurl.com/ye228ydw
৩. র্যাবকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন ইমন
https://tinyurl.com/5ctx6a9c
হে আল্লাহ আপনি তাকে হেদায়েত দান করুন