সৌদির ‘তাবলিগ জামাত’ নিষিদ্ধকে স্বাগত জানালো ভারতের উগ্র হিন্দু নেতা

সৌদি আরবে ‘তাবলিগ জামাত’ নিষিদ্ধকরণকে স্বাগত জানালো ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতা মঙ্গল পান্ডে। ১২ই ডিসেম্বর রবিবার এই বিষয়টি জানিয়েছে বর্তমানে ভারতের বিহারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বরত এই উগ্র নেতা।
সে তার বক্তব্যে তাবলিগ জামাতকে সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত হিসেবে উপস্থাপন করেছে এবং সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত সব সংগঠন ভেঙ্গে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু আসলেই কি এই উগ্র হিন্দুরা সন্ত্রাসবাদ দূর করতে চায়? নাকি তারাই সবচেয়ে বড়ো সন্ত্রাসী?

বিগত বছরগুলোতে ভারতে মুসলিম নির্যাতন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গরু খাওয়া, গরুর গোশত রাখা কিংবা ব্যবসা করার মতো অহেতুক অভিযোগ তুলেও মুসলিমদের খুন করা হচ্ছে। হিন্দুত্ববাদী সরকারের নেতৃত্বে ২০২০ সালে দিল্লিতে মুসলিমদের উপর চালানো হয়েছে ভয়াবহ গণহত্যা। এর আগে ১৯৯২ সালে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সরকারের সমর্থনে ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল মুসলিমদের ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ। এমনকি ২০০২ সালে ভারতের গুজরাটে মুসলিমদের উপর নির্মম গণহত্যা চালিয়ে ‘গুজরাটের কসাই’ হিসেবে আখ্যায়িত হওয়া কুখ্যাত হিন্দু সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদি বর্তমানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের অপরাধের তালিকা আরও অনেক দীর্ঘ।

এতসব সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেও এদের মুখে সন্ত্রাসবাদ দমনের কথা হাস্যকর শোনায়। এরা যদি আসলেই সন্ত্রাসবাদ দমনে আন্তরিক হয়, তবে প্রথমে নিজ দেশ ভারতের প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। কারণ, ভারতে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের কবলে সংখ্যালঘু মুসলিম ও খ্রিস্টানরা নিয়মিত নির্যাতিত হচ্ছেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাবলিগ জামাতের বিরুদ্ধে মনগড়া কিছু অভিযোগ এনে তাবলিগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমাদের দালাল সৌদি সরকার। অন্যদিকে যুবসমাজের মাঝে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিতে তারা নায়ক-নায়িকাদের এনে কনসার্ট করছে, পাঠ্যপুস্তকে হিন্দুদের রামায়ণ সংযুক্ত করছে। আর এসবে ভারতীয় মিডিয়া ও হিন্দুত্ববাদী নেতাদেরকেই বেশি উল্লসিত দেখা যাচ্ছে।

তথ্যসূত্রঃ Hindustan Times- BJP leader welcomes Saudi Arabia’s ‘gates of terrorism’ order on Tablighi Jamaat; https://tinyurl.com/33sshw87