একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে বর্বর চীন, তাকে যেন কিচ্ছুটি বলার কেউ নেই। চীনা পণ্যে সয়লাভ দুনিয়া, তাই তার এসব অপরাধের বিরুদ্ধে জোর গলায় প্রতিবাদ করার কেউ নেই।
ধারাবাহিক মানবয়া বিরোধী অপরাধের অংশ হিসেবে এবার একজন নিরপরাধ উইঘুর মুসলিম যুবককে ৯ বছরের সাজা দিয়েছে দেশটির প্রশাসন। যুবকের নাম মিউলান নুর মুহাম্মাদ। চীনা প্রশাসন “বিচ্ছিন্নতাবাদের” মামলা এনে তাকে এই সাজা দিয়েছে।
মিউলানের বোন রিজওয়ানুল নুর মুহাম্মাদ বলেন, ” আমার ভাই মিউলান নুর মুহাম্মাদকে চীনা প্রশাসন ২০১৭ সালে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সে কোন অপরাধ করে নি। আমি তাকে নিয়ে খুব শঙ্কিত। সে আমার একমাত্র ভাই”।
তিনি জোর দাবি করেন যে, মিউলানকে “বিচ্ছিন্নতাবাদের” মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েই ৯ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব তুর্কিস্তানের মুসলিমদের অবশ্য নামায পরা, রোযা রাখা, কুরআন পরা, সালাম দেওয়া – এসব মৌলিক ইসলামি রীতি চর্চা করার ‘অপরাধেই’ জ্বেলে যেতে হয়, কাউকে হয়য়ে যেতে হয় চিরজিবনের জন্য নিরুদ্দেশ।
উল্লেখ্য যে চীন জিনজিয়াং প্রদেশে কথিত সন্ত্রাসবাদ বন্ধের নামে প্রায় ৭০ বছর ধরে উইঘুর মুসলিমদের শোষণ এবং গত ১০ বছর ধরে চরম নির্যাতন করে আসছে, যার উদাহরণ কেবল চেঙ্গিস-হালাকুর আমলেই পাওয়া যায়। অবশ্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বর্তমান বর্বর চীনারা তাদের পূর্বসূরিদেরকেও ছাড়িয়ে গেছে।
মুসলিম নারীদের জোর করে হান জাতিদের সাথে বিয়ে দেওয়া, নারীদের বোরকা, নিকাব নিষিদ্ধ করা, পুরুষদের দাড়ি রাখায় নিষেধাজ্ঞা সহ আরও অনেক ভয়ানক জুলুম তারা করে যাচ্ছে।
মুসলিমদের অঙ্গ বিক্রির ঘটনাগুলোতো এখন ওপেন সিক্রেট।
তাদের জুলুমের মাত্রা ও কায়দা এতটাই বীভৎস যে, জালেম অ্যামেরিকা পর্যন্ত মাঝে মাঝে এসব ঘটনার নিন্দা জানায়।
তথ্যসূত্র:
—–
১। Uyghur Muslim Mewlan NurMuhammad was detained in January 2017 and sent to a concentration camp for “deradicalisation” –
https://tinyurl.com/y4nk9yr3
পৃথিবীর সবচেয়ে নিরভ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে উইঘুর মুসলিম.. জানতে পড়ুন কাশগড় কতইনা অশ্রুজল.. ইলম হাউজ প্রকাশনী থেকে পাবলিশ করা হয়েছে….
আল ফিরদাউস নিউজে মন্তব্য করা যায় কি..?