কুখ্যাত ইসলামবিদ্বেষী ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের তথ্য দিলে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২০শে ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ‘রিওয়ার্ড ফর জাস্টিস’ (আরএফজে) অফিস এই পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে।
বাংলাদেশের মিডিয়াগুলো এই খবর বেশ উৎসাহের সাথে প্রচার করছে। পাশাপাশি অভিজিৎ রায়-কে উপস্থাপন করছে একজন মহান, প্রগতিশীল, মুক্তমনা লেখক, ব্লগার, এক্টিভিস্ট হিসেবে। আর তার নামের আগে ‘বিজ্ঞানমনস্ক লেখক’ কথাটা লাগানোকে যেন তারা ফরজ বানিয়ে নিয়েছে। কিন্তু কে ছিল এই অভিজিৎ রায়?
মূলধারার মিডিয়া, প্রগতিশীল, মুক্তমনাদের গন্ডির বাহিরে অভিজিৎ রায় একজন নিকৃষ্ট ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। জঘন্য ভাষায় মুহাম্মাদ (ﷺ) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে গালিগালাজ, কটূক্তি, আল্লাহকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা, ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানো, ইসলামকে গালি-গালাজকারী ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষকতা করা, সমকামিতার মতো বিকৃত যৌনাচার প্রচার করা ইত্যাদি নানা অপরাধে সে অভিযুক্ত। বিশেষভাবে সমকামিতার প্রসারে সে একটি বই পর্যন্ত লিখেছে। বইটিতে সে চরমমাত্রায় তথ্য বিকৃতি, জুচ্চুরি ও মিথ্যাচার করে সমকামিতার পক্ষে ওকালতি করেছে।
এভাবে বাংলাদেশে বিকৃত চিন্তা, নাস্তিকতা, ইসলামবিদ্বেষের প্রচার-প্রসারে সে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখি করেছে। অভিজিৎ হলো বাংলাদেশের নাস্তিকদের প্রথম ও প্রধান অনলাইন প্লাটফর্ম, ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষের সূতিকাগার মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা। গত দশকে মূলত তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এবং প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শানে জঘন্য ভাষায় কটূক্তি করতে থাকে। ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের আন্দোলনের মুখে সরকার যখন কিছু ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিককে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়, তখন এই অভিজিৎ-ই পশ্চিমাদের সহায়তায় সরকারকে বাধ্য করে নাস্তিকদের ছেড়ে দিতে। রাজিব হায়দারদের মতো কুখ্যাত সব অশ্লীলভাষী ও প্রিয় নবীকে নিয়ে কটূক্তিকারীদেরও পৃষ্ঠপোষক ছিল সে। এভাবে ইসলাম ও মুসলিমদের দুশমন অভিজিৎ রায় বাংলাদেশকে বানাতে চেয়েছিল ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের আখড়া।
পাশাপাশি সে ছিল আমেরিকার এক বিশ্বস্ত চর। আমেরিকার বিশ্বস্ততা অর্জন করে সেখানের নাগরিকত্বও পেয়েছিল সে। বিশ্বসন্ত্রাসী আমেরিকার কাছে তার গুরুত্ব বুঝা যায় সম্প্রতি তার হত্যাকারীদের ধরতে আমেরিকার পুরস্কার ঘোষণায়। অভিজিতের হত্যাকারীদের ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার দেবে আমেরিকা। সাধারণত আমেরিকার বড়ো ধরনের কোনো স্বার্থ থাকলে এমন পুরস্কারের ঘোষণা দেয় তারা।
ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকতাবাদের এই কুখ্যাত নেতাকেই বাংলাদেশের মিডিয়া ‘বিজ্ঞানমনস্ক’ হিসেবে বার বার উল্লেখ করে থাকে। কিন্তু তার রেখে যাওয়া বই-পুস্তক আজও সাক্ষ্য দেয় যে, অভিজিৎ ছিল এক কুখ্যাত ইসলামবিদ্বেষী, শাতিমে রাসূল।
এজন্যই অভিজিৎ রায়কে ২০১৫ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খতম করেন রাসূলপ্রেমিক কয়েকজন মুসলিম যুবক। আর এর মাধ্যমে সমাপ্ত হয় অভিজিৎ রায় নামক এই নাস্তিক-গুরুর নিকৃষ্ট জীবনযাত্রা। একুশ শতকের বাংলাদেশের শীর্ষতম ঠাণ্ডামাথার নাস্তিক অভিজিতের মৃত্যুর পর এদেশে নাস্তিকরা আর আগের মতো ঘুরে দাঁড়াতে না পারলেও এখনো বহাল তবিয়তে চলছে মুক্তমনা ব্লগের কার্যক্রম। তবে নাস্তিকরা মনে করে অভিজতের মৃত্যুতে তাদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা আর কখনো পুষিয়ে উঠা সম্ভব নয়।
লেখক: সাইফুল ইসলাম
তথ্যসূত্র:
[১] American atheist blogger hacked to death in Bangladesh- https://tinyurl.com/4uvpjvb2
[২] Humanists appalled at the murder of secular activist and writer Avijit Roy- https://tinyurl.com/1afhjcvj
[৩] Atheists Rally Around Jailed Bangladeshi Bloggers- https://tinyurl.com/5bybs4o7
[৪] The Struggle of Bangladeshi Bloggers- https://tinyurl.com/ynfetaf9
[৫] অভিজিতের ঘাতকদের তথ্য চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪২ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা- https://tinyurl.com/48ba4tj3
আমরাও তাহলে বাইডেনের হত্যার পুরস্কার ঘোষণা করি।
★মুসলমানরা না বুঝলে ও কুফফাররা উম্মাহর সিংহ পুরুষদের মাথার দাম… ঠিকই বুঝ গিয়েছে।আফসোস… উম্মাহর ঘুমিয়ে থাকা কথিত, স্বঘোষিত সিংহ পুরুষদের জন্য…..