ভারতে মুসলিম বিদ্বেষের বাজার যে ভালোই সরগরম তা পূর্ণ মাত্রায় স্পষ্ট হচ্ছে। হরিদ্বারে যেমন মুসলিমদের গণহারে হত্যা করার ডাক দেওয়া হয়েছে, তেমনি আরও তিনটি ধর্ম সংসদ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। একটি হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে এবং দুটি উত্তরপ্রদেশের আলিগড় ও গাজিয়াবাদে। হরিদ্বারের মতই এখানেও আলোচ্য বিষয় ‘শস্ত্রমেব জয়তে।’
হরিয়ানার শিব শক্তিধামে আগামী বছরের ১ ও ২ জানুয়ারি দুদিনের গণহত্যার ডাক দেওয়া হয়েছে। গেরুয়াধারী নরসিংহানন্দই পরের সমাবেশগুলির আয়োজক। সে যে ফের মুসলিম নিধনের ডাক দেবে তা নিয়ে আর কারো মনে কোনও সংশয় নয়।
গত ১৭ ডিসেম্বর দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল হিন্দু যুব বাহিনী এবং অপরটির আয়োজন করেছিল ইয়েতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী হরিদ্বারে গত ১৯ ডিসেম্বর। এই দু’টি অনুষ্ঠানেই প্রকাশ্যে মুসলিমদের গণহত্যা, ঘৃণা ছড়ানো এবং হিংসার আহ্বান করা হয়েছে। কট্টর গেরুয়াধারী জ্যোতি বলেছে, মুসলিমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিতে হবে।যুদ্ধে তারাই যেতে যাদের হাতে থাকে ভালো অস্ত্র।
হিন্দুমহাসভার সাধারণ সচিব এবং নিরঞ্জনী আখড়া পরিষদের অন্নপূর্ণা মা সমাবেশে হিন্দুদের উদ্দেশে বলেছে, মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করুন। যদি আপনারা ওদের শেষ করে দিতে চান, তাহলে এখনই ওদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরুন। আমরা ওদের হত্যা করে জেলে যেতে রাজি। আমরা কেবল ১০০ সেনা চাই। তাতেই আমরা ২০ লক্ষ মুসলিমকে হত্যা করতে পারব। আমরাই জিতব। আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থগুলি এখন পাশে সরিয়ে রেখে অস্ত্র তুলে নেন।
মুসলিম হত্যার কথা শুনেও বিজেপির কোনও নেতা একটি শব্দও করেনি। অনেকে বলছে,বিজেপি নেতারা যে এই গেরুয়াধারী ‘বিদ্বেষীদের’ বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না, সেটাই স্বাভাবিক। এখনও পর্যন্ত একজনকেও ধরেনি পুলিশ। এমন ক্ষেত্রে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের গডফাদার প্রধানমন্ত্রীকে নীরব থাকতে দেখা গিয়েছে। এই বিদ্বেষের প্রচারকরা মোদি ও অমিত শাহের নীরবতাকে তাদের কাজের প্রতি সম্মতি ধরে বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়ানোর কাজ সমান গতিতে চালিয়ে যাবে।
ফলে এই হিন্দুত্ববাদের নাম দিয়ে এই ধরণের বিদ্বেষ ভাষণ দিয়ে তারা হিন্দুদের মন বিষিয়ে দিতে চেষ্টা করছে, যার বিষক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। ভারতে মুসলিমদের জান মাল ইজ্জত আব্রু এখন অনেকটা হিন্দুদের করুণার উপর নির্ভর হয়ে গেছে। তারা চাইলে যেকোন মুসলিমকে হত্যা করছে, পিটিয়ে জখম করে দিচ্ছে, মেরে ফেলছে, ইচ্ছে হলেই নারীদের শ্লীলতাহানী করছে। মুসলিম মা বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমি খেলছে। যাকে চাইছে মিথ্যা মাললায় ফাসিয়ে জেলে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
গত ২৬ শে ডিসেম্বর, টুইটারে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হিন্দুত্ববাদী গেরুয়া সন্ত্রাসীরা মুসলিম অধ্যুষিত মেওয়াতের প্রবেশ করে।
হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘বজরং দল’-এর সশস্ত্র সদস্যদের বহনকারী ৫০০ টিরও বেশি গাড়ি ও অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে মুসলিমদের ভয় দেখাতে থাকে। জয় শ্রীরামসহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বলতে থাকে তোমরা হিন্দুদের যতটা দুর্বল ভাবো আমরা ততটা দুর্বল নই। তারা মুসলিম অঞ্চলটিকে “জাফরান” রং দিয়ে রাঙ্গিয়ে দিয়েছে।
তথ্যসূত্র:
——-
১। Over 500 cars carrying armed members of the Hindutva organisation ‘Bajrang Dal’ entered a predominantly Muslim neighbourhood in Mewat to “saffronise” the area on Friday.
https://tinyurl.com/22mr58en
২। ভারতে মুসলিম বিদ্বেষের বাজার ভালোই সরগরম
https://tinyurl.com/efr2ryp7
৩। আরও তিনটি ধর্ম সংসদ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে
https://tinyurl.com/24yzpzp5
জাযাকুমুল্লাহ… মুহতারাম ভাই, এখানে গণহত্যার ডাক বলতে কী উদ্দেশ্য?! বিষয়টা কি এমন যে, তারা সত্যিই ঘোষণা করেছে; আগামী বছরের ১-২ জানুয়ারি তারা মুসলিমদের উপর গণহত্যা ও জাতিগত নিধন চালাবে???!!!” বিষয়টা আরেকটু স্পষ্ট হওয়া দরকার…
আসসালামুয়ালাইকুম কেমন আছেন ভাইয়েরা?
ভাইদের কাছে বিশেষ আবেদন ,কথা বলার সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহর প্রতি লক্ষ্য রাখার।
হে আল্লাহ তুমি আমাদের সবাইকে সঠিক পথে পরিচালিত কর।
আসসালামুয়ালাইকুম কেমন আছেন ভাইয়েরা?
ভাইদের কাছে বিশেষ আবেদন।
কথা বলার সময় যেন আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সু্ন্নাহের প্রতি লক্ষ্য রাখি।
দেখা যাবে বিজয় কার
আল্লাহর বাহিনীর নাকি শয়তানের বাহিনীর
#نصر من الله و فتح قريب
মোহতারাম ভাই আমরা যেন আমাদের আচরন আরো ভালো করি কাউকে উপদেশ দিলে সেটা জেন হয় ভদ্রবাবে সুনদর করে বুজিয়া বলা
আল্লাহ আমাদের মুসলিম উম্মাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন